Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুক্তিসংগ্রামে বলিদান তরুণ চিকিৎসক হুমায়ুন কবির

রা’আদ রহমান
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৬

ডাক্তার এ বি এম হুমায়ুন কবির। পুরো নাম আবু বিজরিস মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। ডাক নাম বুলু। ১৯৭১ সালে সম্ভবনাময় তরুণ এই চিকিৎসক নয় মাস জুড়ে গোপনে বিনামূল্যে চিকিৎসা করেছেন অজস্র মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের। মেডিকেলে পড়ার সময়েই উনসত্তরের গণঅভ্যুথানে সভা-সমাবেশ ও মিছিলে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে জড়িত থেকে ছাত্রসমাজে পরিচিত মুখ হবার কারণে একাত্তরের শুরু থেকেই ছিলেন আলবদর জল্লাদদের টার্গেট। কিন্তু খুবই কৌশলে একাত্তরের পুরো সময় জুড়ে ঢাকাইয় সক্রিয়তা কমিয়ে তিনি নিজ গ্রামে সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু বিজয়ের ঠিক আগ মুহুর্তে আলবদর জল্লাদদের ধূর্ত সর্বাত্মক আগ্রাসন আর এড়াতে পারেননি। ডাঃ এটিএম আজহারুল ইসলামের সাথে হুমায়ুন কবিরকেও তুলে নিয়ে যায় আলবদর কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর থানাধীন চরভাগা বকাউলকান্দি গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২২ জানুয়ারি এ বি এম হুমায়ুন কবীরের জন্ম। বাবা নূরুল হক সরকার, মা বিলকিস বেগম। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি। মেধাবী ছাত্র হুমায়ুন চাঁদপুর জেলার মতলব হাইস্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এমবিবিএস পাস করার পর ইন্টার্নশিপ শুরু করার আগেই শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। ভালো গিটার বাজাতে পারতেন, নাটকেও চমৎকার অভিনয় করতেন। কিন্তু তার মূল আগ্রহ ছিল সাধারণ মানুষকে সাহায্য, তাদের পাশে দাঁড়ানো। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি সেটাই করে গেছেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মেডিকেলে পড়া শুরু পর থেকেই তার নিজের গ্রামে ডাক্তার হিসেবে বাড়ছিল তার পরিচিতি। ঢাকা মেডিকেলে থার্ড ইয়ার পড়ার সময় থেকেই তাকে গ্রামে সময় দিতে হত নিয়মিত, যেহেতু ছুটিতে গ্রামে গেলেই গরিব গ্রামবাসীদের নানা অসুখের চিকিৎসা করতেন, পরামর্শ দিতেন, সুতরাং তার জন্য অপেক্ষায় থাকতো সবাই। তিনি গ্রামে আসলেই দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসত চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য, তাকে নিয়ে যেত রোগী দেখাতে। ছুটি কাটাতে বাড়ীতে গিয়ে আর ছুটি কাটানো হত না তার।

শহরে মেডিকেলে নিজের স্করলারশিপের টাকায় ঔষধ কিনে নিয়ে যেতেন গ্রামের অসহায় রোগীদের জন্য, পরিচিত ডাক্তার ও মেডিকেল এজেন্টদের কাছ থেকেও নানা ধরনের ঔষধ ও পরামর্শ নিয়ে যেতেন তিনি। এমনকি অনেক রোগীদের ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে বড় ডাক্তারদের কাছেও নিয়ে যেতেন। এভাবে নিজের গ্রাম ও আশেপাশের দশ গ্রামে একজন মানবহিতৌষী চিকিৎসক হিসেবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল তিনি এমবিবিএস পাশ করবার আগেই।

মেডিকেল কলেজে এসে বাম রাজনীতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা শুরু হয়। মাওলানা ভাসানীর প্রতিবাদী রাজনৈতিক চরিত্র তার খুব পছন্দ ছিল। ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, এরপরে যোগ দিয়েছিলেন ন্যাপ ভাসানীর ছাত্র সংগঠনে, সেখান থেকে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস। পূর্ব বাংলায় তখন স্বাধিকার ও স্বাধীনতার দাবীতে উত্তাল ছাত্রসমাজের বিভিন্ন আন্দোলন ও মিছিলের পরিচিত মুখ ছিলেন হুমায়ুন কবির। ভাসানী ন্যাপ যখন ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করল, তখন তিনি প্রবলভাবে হতাশ হয়েছিলেন। কারণ রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়াটা যে বাঙ্গালী নেতৃত্বের জন্য খুবই জরুরি ছিল, সেটার গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন তিনি। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন পাকিস্তানীরা বাঙালীদের স্বাধিকারের দাবী মেনে নেবে না। পূর্ব বাংলার স্বাধীনতাই একমাত্র মুক্তির পথ। স্বপ্ন দেখতেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। বয়সে তরুণ হলেও তার রাজনৈতিক মতাদর্শও ছিল খুবই পরিণত। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বাধীনতার পক্ষে তার সক্রিয় অবস্থানের কারণেই তাঁকে সরিয়ে ফেলতে উদ্গ্রীব হয়ে ওঠে জামায়াতের আলবদর পিশাচেরা।

২৫ মার্চের কালরাতে অপারেশন সার্চলাইটের বিভীষিকার সময় এমবিবিএসের শেষ পরীক্ষা বাকি থাকা হুমায়ুন মেডিকেল হোস্টেলেই ছিলেন। কারফিউয়ের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৬ তারিখ বিকালে তার বোন শেলী আকবরের ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাসায় পালিয়ে আসেন। এরপর গর্ভবতী বোন-দুলাভাইসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদের পোস্তগোলায় নৌকায় তুলে বুড়িগঙ্গা দিয়ে গ্রামের দিকে পাঠিয়ে দেন। আর তিনিসহ পুরুষেরা নদী পার হয়ে মুন্সীগঞ্জ দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ির পথে যাত্রা করেন। গ্রামে এসে তিনি আটকে যান পারিবারিক দায়বদ্ধতায়। সাতজন নাবালক বাচ্চাসহ তার বাবা এবং চাচার পুরো পরিবারকে দেখে রাখার দায়িত্ব দেয়া হয় তাঁকে। তার বাবা রীতিমত দিব্যি দিয়ে তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে বাঁধা দেন। কিন্তু হুমায়ুন কবিরকে নিষ্ক্রিয় রাখা কঠিন।

তিনি প্রথমে গ্রামের সাধারণ মানুষদের নানাবিধ চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। এরপরে তিনি ডামুড্যা বাজারে গিয়ে একটা ফার্মেসীতে নিয়মিত রোগী দেখা শুরু করেন। সেখানেই তার সাথে মুক্তিবাহিনীর যোগাযোগ হয়। সারাদিন ফার্মেসীতে সাধারণ রোগী দেখার পাশাপাশি রাত নামলেই মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন তিনি। বিভিন্ন অপারেশনে আহত মুক্তিযোদ্ধারা আসতেন তার কাছে, তিনিও মাঝেমধ্যে ক্যাম্পে গিয়ে চিকিৎসা করে আসতেন। এটি ঘটতো খুবই সতর্কতার সাথে গোপনে। যতই দিন গড়াতে লাগলো এবং মুক্তিযুদ্ধ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকলো, হুমায়ুন তার বাবাকে দেয়া কথা রাখতে পারলেন না। প্রায়ই তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে আসতেন, উঠতেন তার ছোট বোনের বাসায়। তার বোন একটা ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন, কিন্তু দুই মাসের মাথায় ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে হুমায়ুনের ভাগনি মৃত্যুবরণ করেন। শোকাগ্রস্ত বোনের পাশে থাকার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসহ সবদিকেই খেয়াল রাখছিলেন হুমায়ুন। তখনই তার কর্মকান্ড বেশ গভীরভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আলবদর কর্মীদের।

নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে হুমায়ুন বুঝতে পারছিলেন তার উপর নজর রাখা হচ্ছে। সন্দেহ এড়াতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে তার এমবিবিএসের শেষ পরীক্ষাটাও দিয়েছিলেন। একপর্যায়ে ঢাকায় এসে খুব বেশিদিন থাকতেন না। তাঁকে তার বোনসহ পরিচিতেরা ঢাকায় আসতে মানা করতেন, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা আর ঔষধ সংগ্রহের জন্য তিনি ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছিলেন। একপর্যায়ে সতর্কতা হিসেবে গোঁফ রেখে চুল অন্যভাবে আঁচড়ে কিছুটা ছদ্মবেশে থাকা শুরু করলেন তিনি। শেষ যেবার তিনি ঢাকায় এলেন, তখন নভেম্বর মাস। মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও জামায়াতের রাজাকার-আলবদর-আলশামসসের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ংকর বিভীষিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে রীতিমত। ক্ষ্যাপা কুকুরের মতন আলবদর কর্মীরা প্রায়ই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ দিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরার জন্য অভিযান চালাতো। নভেম্বরের মাঝামাঝির ঐ সময়টায় হাতিরপুল এলাকায় কারফিউ ছিল।

আচমকা কারফিউতে আটকা পড়ে গেছিলেন হুমায়ুন।পালাবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু লাভ হয়নি। ১৫ নভেম্বর ভোরে প্রতিদিনের মতন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনার পর আরেকবার পালাবার সিদ্ধান্ত নিলেন হুমায়ুন। পাশের বাড়ির নীচতলায় থাকতেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন ডাঃ আজহারুল হক। তিনিও গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। তাঁকে নেবার জন্য সেদিন সকালে অ্যাম্বুলেন্স আসবার কথা ছিল। হুমায়ুন দেখলেন এটাই সুযোগ, তারও ইন্টার্ণশিপ শুরু হবার কথা ছিল সেই মাসেই। তিনি ডাঃ আজহারুল ইসলামের সাথেই বেরিয়ে গেলেন ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারা দুজনেই যেটা জানতেন না সেটা হচ্ছে সেদিন কারফিউ দেয়াই হয়েছিল ঢাকা মেডিকেলের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন এবং একজন সদ্য এমবিবিএস শেষ করা তরুণ ডাক্তারকে ধরার জন্য। এরা দুজনেই খুব গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিয়ে আসছে এবং ঔষধ পৌছে দিচ্ছে মাসের পর মাস। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সুস্থ হয়ে আবার যুদ্ধে ফিরে গেছে এই দুই ডাক্তারের জন্য। এই তথ্যটা জানতে পেরেছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট ও ইসলামী ছাত্র সংঘ ( বর্তমানে ইসলামী ছাত্রশিবির)-এর কর্মী ডাক্তার এহসানুল করিম। সেইই মূলত আলবদর কর্মীদের দিয়ে ডাক্তার আজহারুল ও ডাক্তার হুমায়ুন কবিরকে ধরার জন্য কারফিউয়ের ব্যবস্থা করে।

তাঁরা দুজন তাদের বাড়ির সামনে নিচে অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় আলবদর কর্মীরা তাদের ধরে কাদালেপা এক মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরদিন ১৬ নভেম্বর নটরডেম কলেজের কাছে কালভার্টের নিচে তাঁদের চোখ, হাত ও পা বাঁধা বিকৃত মরদেহ পাওয়া যায়।

হুমায়ুন কবীরের ছোট বোন শেলী আকবরের ‘আমার ভাই’ রচনা থেকে এ সম্পর্কে জানা যায়। শেলী আকবর লিখেছেন, “নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি ঢাকায় আসেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ধরার জন্য ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু দিয়ে তল্লাশী চালানো হতো। পনেরই নভেম্বর ভোর পাঁচটা থেকে কার্ফু দিয়ে হাতিরপুল এলাকা ঘেরাও করা হয়। ঘেরাও করে কুখ্যাত আলবদর আলশামস বাহিনী। মিয়াভাই বুঝতে পেরেছিলেন যে, তল্লাশীতে তিনি ধরা পড়তে পারেন। তিনি বাসা থেকে পালিয়ে যাবার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন। এ সময়ে আমাদের প্রতিবেশী ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী সার্জন ডাঃ আজহারুল হককে নেয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। সেই এ্যাম্বুলেন্সে মিয়াভাইও যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। পরে জানতে পারি, আলবদর নরপশুরা এ্যাম্বুলেন্স ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। কার্ফু তুলে নেওয়ার পর আমার স্বামী দিশাহারা হয়ে তাঁর একজন সহকর্মীকে নিয়ে বিভিন্ন থানায় খোঁজখবর করতে থাকেন। মেডিকেল কলেজ থেকে জানানো হয় এই দুই ডাক্তার মেডিকেল কলেজে এসে পৌছাননি। পরদিন দুপুরে খোঁজ পাওয়া যায় তাদের, জানা যায় ডাঃ কামরুজ্জামান মিয়া ভাই (হুমায়ুন কবির) ও ডাঃ হকের ক্ষতবিক্ষত বিকৃত নটরডেম কলেজের কালভার্টের নীচের ড্রেন/ডোবা খুঁজে পান, সেখান থেকে লাশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মর্গ থেকে লাশ নিয়ে আমরা কোনো রকমে জানাজা পড়ে রাতের কার্ফুর আগেই আজিমপুর গোরস্থানে তাঁদের সমাহিত করি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ছাত্র সংঘের ডাঃ এহসানুল করিমই এই দুজনকে হত্যা করেছে।”

তথ্যসূত্র _
১। আমার ভাই শহীদ ডাঃ এ বি এম হুমায়ুন কবির/শেলী আকবর
২। প্রকৌশলী ওয়াসেল কবীর (এ বি এম হুমায়ুন কবীরের ছোট ভাই)। প্রতিকৃতি: শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারক ডাকটিকিট (ষষ্ঠ পর্যায়) প্রকাশ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা (১৯৯৭) থেকে।
৩। স্মৃতি: ১৯৭১, দ্বিতীয় খন্ড, প্রথম প্রকাশ ১৯৮৯, সম্পাদনা রশীদ হায়দার
৪। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ/ ডাঃ বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ
’(স্মৃতি: ১৯৭১, দ্বিতীয় খন্ড, প্রথম প্রকাশ ১৯৮৯, সম্পাদনা রশীদ হায়দার)।
লেখক : রেদোয়ান মাসুদ, কবি ও লেখক (জাজিরাবাসী)
সূত্র: প্রকৌশলী ওয়াসেল কবীর (এ বি এম হুমায়ুন কবীরের ছোট ভাই)। প্রতিকৃতি: শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারক ডাকটিকিট (ষষ্ঠ পর্যায়) প্রকাশ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা (১৯৯৭) থেকে।
গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
সুত্রঃ প্রথম আলো (উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ৬১)

সারাবাংলা/এসবিডিই

ফিচার মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিসংগ্রামে বলিদান তরুণ চিকিৎসক হুমায়ুন কবির রা'আদ রহমান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর