রোজায় শুদ্ধাচার
৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১২
মুসলমানদের সংযম অনুশীলনের মাস রমজান। রোজা রাখলে আত্মিক উন্নতি হয়, পশুপ্রবৃত্তির বিনাশ ঘটে। এ জন্যই ইসলাম বছরে এক মাস রোজা রাখাকে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য করেছে। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে রোজা যেন শুদ্ধ হয়।
* রোজার সময় অসংযমী আচরণ করা যাবে না
* কী খাবো, কী করব এরকম মাতামাতি করা যাবে না
* কথায় কথায় মেজাজ দেখানো থেকে বিরত থাকতে হবে
* রোজায় থেকে পরনিন্দা করা যাবে না
* অন্যের কষ্ট বুঝতে হবে। আর্ত- মানবতার সেবায় উপকারে আসা রোজার অন্যতম দাবি
* রোজার অজুহাতে অসৎ পথ অবলম্বন করবেন না। ঘুষ- দুর্নীতি বাড়তি উপার্জন মুক্ত জীবন গড়ুন।
* রোজার দিনে দান করুন ভালো কথা, তবে দানবীর হিসেবে নিজেকে জাহির করবেন না।
আনুষ্ঠানিক উপোস থাকার নামই রোজা না, এর কিছু অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আছে। রোজার দ্বারা আত্মার বিকাশ হয়। অন্তরের কালিমা দূর হয়। মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটে।
ইসলামে রোজা ফরজ করা হয়েছে সমাজের দুঃস্থ ও অবহেলিত মানুষদের কষ্টের কথা অনুধাবন করার জন্য। যাদের প্রতিদিনই কাটে রোজার মতো না খেয়ে তাদের কষ্টটা ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য। কিন্তু সেই দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
রোজার ঈদ মানেই নতুন জামা- কাপড়। ঈদের শপিং শুরু হয়ে যায় রোজার শুরু থেকেই। অনেকে রোজার আগেই ঈদের কেনাকাটা সেরে নেন। কেউ কেউ কেনাকাটা করতে দেশের বাইরেও চলে যান। ভেবে দেখতে হবে কেনাকাটায় এই বাহুল্য কতটুকু প্রয়োজনীয়?
আসুন এবারের রমজান থেকে প্রকৃত শিক্ষা নিই। রমজানের শিক্ষা ধারণ করে মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম
সারাবাংলা/এজেডএস