২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা এখনও রিটার্ন জমা দেননি তারাও এই সময়ের মধ্যে কোনও জরিমানা ছাড়া কর বা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, সারাদেশের সব তফশিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারী, সারাদেশের সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং ওই আদেশে উল্লেখিত বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন (টিন) রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারও আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে।
এর বাইরেই আয়করের এমন কিছু বিধান রয়েছে যাতে টিআইএন থাকলেও কিছু বিশেষ শ্রেণীর মানুষের জন্যে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। ধারা ১৬৬ (২) অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়, যথা-
(ক) কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
১) যা বাংলা ভাষায় পাঠদানকারী প্রাথমিক বা প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বা সরকারি মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় বা যা মাসিক পেমেন্ট আদেশভুক্ত (এমপিও) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; এবং
২) যার ইংরেজি ভার্সন কারিকুলাম নেই;
(খ) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়;
(গ) বাংলাদেশ ব্যাংক;
(ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ;
(ঙ) সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যার সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত তহবিল ও সুদ আয় ছাড়া অন্য আয় নেই;
(চ) আপাতত বলবৎ কোনও আইন দ্বারা বা আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত যে কোনওও সত্তা, যাদের সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত তহবিল ছাড়া অন্য কোনও আয় নেই;
(ছ) সরকারি ভবিষ্য তহবিল ও সরকারি পেনশন তহবিল;
(জ) কোনও অ-নিবাসী স্বাভাবিক ব্যক্তি, যার বাংলাদেশে কোনও নির্দিষ্ট ভিত্তি নেই; বা
(ঝ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, রিটার্ন দাখিল করা হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের।
লেখক: আয়কর আইনজীবী