হইহই করতে করতে বাড়ির পথে
১৪ জুন ২০১৮ ১৩:২৪
।। আরফিুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কাজের সূত্রে যারা ঢাকায় থাকেন আর সুযোগ খুঁজেন কবে বাড়ি যাবেন তাদের জন্য ঈদ একটা বিশাল সুযোগ। তবে ঈদে বাড়ি যাওয়া ঘটনাটা যত আনন্দদায়ক যাবার পথ তত মসৃণ হয় না।
স্বজনদের ছুটিতে এই শহর ছাড়তে শুরু করেছে রাজধানীবাসী। বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) শেষ কর্মদিবস। দুপুরের পর থেকেই বাস,ট্রেন বা লঞ্চে যে যাত্রীদের ভিড়ের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে- এ তথ্য কি আর কারও অজানা আছে? মহাসড়কে বাড়তে পারে যানজট। আর যানবাহনের অপেক্ষায়ও কাটাতে হবে অনেকটা সময়।
ঈদে বাড়ি ফিরতে ঘণ্টার পর ঘণ্টার বাস,ট্রেন বা লঞ্চে দীর্ঘ সময় বসে থাকাটা যেন একঘেয়েমি আর ক্লান্তিকর না মনে হয় সেজন্য সারাবাংলার পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্য থাকছে কিছু টিপস:
১। বাস , ট্রেন বা লঞ্চ করে যাত্রা শুরু করার আগে আপনার মোবাইলে ফুল চার্জ দিন। আর অবশ্যই সঙ্গে রাখুন পাওয়ার ব্যাংক। যাত্রাপথে কোথাও বিরতি পেলে মোবাইল চার্জ দিয়ে রাখুন। মোট কথা বাড়ি ফেরার আগে পর্যন্ত চার্জের অভাবে যেন স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ না হয়।
২। দীর্ঘ সময় পাড়ি দেওয়ার জন্য সঙ্গে রাখতে পারেন পত্রিকা বা পছন্দের বই। ওয়ার্ড পাজল, সুডোকু ধরণের খেলা থাকলেও মন্দ হয় না।
৩। সঙ্গে নিন রাখতে পারেন হালকা কিছু খাবার। তবে যদি রোজা থাকেন অবশ্যই ইফতারির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার সাথে রাখুন। চলার পথে ইফতারির সময় বাস লোকালয়ে নাও পেতে পারে, কাজেই আগেই সাবধান। খাবার না নিলেও পানি যেন অবশ্যই সঙ্গে থাকে।
৪। যানজটে পড়লে গরমে কষ্ট হতে পারে বিশেষ করে শিশু বা বয়স্কদের। সে বিষয়টি মাথায় রেখে ছোট মিনি ফ্যান সাথে রাখবেন। তা না হলে সঙ্গে একটি হাত পাখা কাছে রাখা যেতে পারে।
৫। রাস্তায় চলার জন্য গানের একটা প্লেলিস্ট তৈরি করে রাখতে পারেন। চলতি পথে গান শুনতে শুনতে দিব্যি বাড়ি ফিরে যাবেন।
৬। যাত্রায় পারলে পাশের সিটে বন্ধু মহলের কাউকে রাখার চেষ্টা করুন। তা নাহলে পাশের সিটের মানুষটির সঙ্গেই আলাপ জমানোর চেষ্টা করুন। তবে যতই খাতির হোক কারও থেকেই কোনো খাবার খাবেন না।
৭। দীর্ঘ সময় বাস জ্যাম আটকিয়ে থাকতে পাড়ে এই ভেবে বাস থেকে নামে হাঁটার চেষ্টা করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৮। অপরিচিত লোকের কাছে কোন খাবার কিনে খাবেন না। কোন কিছু দরকার হলে বাসের সুপারভাইজার কে বলুন।
৯। পথে পথে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, কী হলো এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাতেও ভুলবেন না। পথে কোনো সমস্যার কথাও নির্দিধায় জানাতে পারেন বন্ধুদের। এতে ঐ পথে আসা অন্যরা সাবধান হওয়ার সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও নাগরিক হিসেবে আপনি নিজের সমস্যার কথা বলতেই পারেন। তবে ভালো কিছু দেখলে সেটা জানাতেও ভুলবেন না যেন।
১০। আর হা এর পরেও যদি জ্যাম বসে থাকতে খারাপ লাগে কিছু সময়ের নিজের চোক বন্ধু করে প্রিয়জনের কথা ভাবুন। দেখবেন সব কষ্ট নিমিশেষ দূর হয়ে গেছে।
এভাবেই আনন্দ করতে করতে বাড়ি পৌঁছে যাবেন। চেষ্টা করবেন যাত্রাপথে কারও কষ্টের কারণ না হতে। সবাই যদি আমরা একে অন্যের কথা চিন্তা করি তাহলে সবাই মিলে আনন্দটাও শতগুণে বেড়ে যাবে।
সারাবাংলা/ এআই/