Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মোজো: সাংবাদিকতা যখন-তখন

সুদীপ্ত সালাম
২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১০ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২০

মোবাইল জার্নালিজমের যুগ

আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করছি—যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ক্রমবর্ধমানভাবে প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আশির্বাদ স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের পথচলার শুরুটা নব্বইয়ের দশকে হলেও—এর বিস্ময়কর উত্থানটা হয় ২০০০ সনের পরে। ২০০৭ সনে বাজারে আসে অ্যাপলের প্রথম ‘আইফোন’। সেই পথ ধরেই হতে থাকে স্মার্টফোনের অভাবনীয় সমৃদ্ধি ও বিস্তার।

বিজ্ঞাপন

মানুষের প্রয়োজন ও রুচির পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নত হতে থাকে স্মার্টফোনের ফিচার। এক সময় প্রধান ফিচার হয়ে ওঠে ফোনের সঙ্গে যুক্ত ক্যামেরাটি। দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং ক্যামেরার শক্তিতে স্মার্টফোন হয়ে ওঠে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রযৌক্তিক এই যুগে স্মার্টফোনের সমমানের অস্ত্র নেই বললেই চলে।

জীবনযাপন, ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়ালেখা, সামাজিক যোগাযোগ ইত্যাদি সব এখন স্বাভাবিকভাবেই স্মার্টফোন-নির্ভর হয়ে পড়েছে—এমনকি সাংবাদিকতাও। এখন আমরা তাৎক্ষণিক সংবাদ পেতে স্মার্টফোনের শরণাপন্ন হই। কোনো সংবাদের ভিডিও দেখতে এখন আর টেলিভিশনের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। খবর নিজেই এসে ধরা দেয় হাতের মুঠোয়।

একইভাবে সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াকেও সহজতর করেছে স্মার্টফোন। আগে একটি সংবাদ সংগ্রহ করতে দলবল এবং নানা সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে হতো। তারপরও সঠিক সময়ে খবর প্রচার বা সম্প্রচার করা যেতো না। অফিসে ফিরে, লিখতে এবং সম্পাদনা করতে করতে অনেক সময় চলে যেতো। অবশেষে সংবাদ যখন প্রকাশ হতো—ততোক্ষণে সে সংবাদের গুরুত্ব হারিয়ে যেতো। আর স্মার্টফোনের যুগে কেউ বসেও থাকে না সেই সংবাদের জন্য। পাঠক-দর্শকের যা জানার তা চট করে জেনে নিচ্ছেন। সুতরাং স্মার্টফোন-নির্ভর পাঠক ও দর্শককে ধরতে সাংবাদিকতাকেও অনেকাংশে স্মার্টফোন-নির্ভরই হতে হবে। অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো ব্যাপার।

বিজ্ঞাপন

একটি খবর সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রচার করা পর্যন্ত কাজের যতোগুলো ধাপ রয়েছে সেগুলো মোবাইলফোনের মাধ্যমে করাকেই ‘মোবাইল জার্নালিজম’ বা সংক্ষপে ‘মোজো’ (MoJo) বলা হয়। লেখা, ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ, শব্দগ্রহণ এবং এই কন্টেন্টগুলো সম্পাদনা করে পাঠক ও দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া—মোজোর অন্তর্ভুক্ত।

মোজোর সুবিধা

প্রথাগত সাংবাদিকতার তুলনায়, মোবাইল সাংবাদিকতায় সুবিধা অনেক। যেমন—

• নিউ মিডিয়ার সহায়ক: দর্শক ও পাঠকের রুচি এবং তথ্য গ্রহণের পদ্ধতি প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে, সেহেতু তথ্য সরবরাহের পদ্ধতিগুলোও বদলাতে বাধ্য। এই বদলের পালাই নিউ মিডিয়া। আর মোজো সেই পালাবদলে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

• দ্রুতগতি সম্পন্ন: মোবাইল সাংবাদিকরা দ্রুত সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদনা এবং প্রচার করতে পারেন। প্রতিবেদন তৈরি এবং প্রচারে প্রথাগত সাংবাদিকতার তুলনায় মোবাইল সাংবাদিকতায় সময় অপচয় হয় না বললেই চলে।

• স্বাধীনতা: বিশাল ও ভারি সরঞ্জাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বেশি সরঞ্জাম অনেক ক্ষেত্রেই সংবাদ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

• সাশ্রয়ী: প্রথাগত সাংবাদিকতায় দামি সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। মোবাইল সাংবাদিকতা তার তুলনায় খরচ অনেক কম।

• পাঠক-দর্শকের সঙ্গে দ্রুত সংযোগ: মোবাইল সাংবাদিকতার মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকেই সহজে সংবাদ প্রকাশ করা যায়। তাতে করে পাঠক ও দর্শকের সঙ্গে দ্রুত সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয় এবং তাদের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়।

• সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ঘনিষ্ঠ: প্রথাগত সাংবাদিকতা পত্রিকা, রেডিও ও টেলিভিশন-নির্ভর। মোবাইল সাংবাদিকতা প্রধানত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-কেন্দ্রিক। তাই মোজোর পাঠক-দর্শক ব্যাপক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ।

• প্রভাবশালী: কম সময়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা মোবাইল সাংবাদিকতার রয়েছে। তাই তার প্রভাবও বেশি।

• নিরাপদ: এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ দিক। সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। কাজ করা অনেক সময় বিপজ্জনক হতে পারে। দুষ্কৃতিকারীদের ‘সাংবাদিক-ভীতি’ থাকে, আপনার হাতে মোবাইলফোন থাকলে আপনি সাংবাদিক হিসেবে চিহ্নিত নাও হতে পারেন।

• মোবিলিটি: মোবাইলফোনের মতো মোবাইল সাংবাদিকতারও মোবিলিটি রয়েছে। সাংবাদিকরা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে সংবাদ প্রচার করতে পারেন।

মোজো : করণীয়

স্মার্টফোন হাতে থাকলেই চলবে না, সাংবাদিক হিসেবেও হতে হবে স্মার্ট বা চৌকষ।

• সদা প্রস্তুত থাকুন: ঘড়ির কাঁটা মেনে ঘটনা ঘটে না, তাই সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কি ঘটছে—সেদিকেও নজর রাখুন। আর ফোন, মাইক্রোফোন, মোবাইলফোন স্ট্যান্ড, লাইট ইত্যাদি সরঞ্জামও যাতে সবসময় প্রস্তুত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোথাও যাওয়ার আগে সবকিছু সঙ্গে নেয়া হয়েছে কিনা—একাধিকবার দেখে নিন।

• সরঞ্জামগুলো সম্পর্কে জানুন: কোন জিনিস কোন কাজে লাগে তা জানতে হবে, অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখার কোনো মানে হয় না। শুধু তাই নয়, সেসব জিনিসপত্র সঙ্গে রাখছেন সেগুলো কিভাবে কাজ করে, কতোটা করে, কতোটা করে না—সেসম্পর্কেও ধারণা থাকা চাই।

• ব্যাটারি চার্জ ফুল রাখা চাই: স্মার্টফোন, মাইক্রোফোন, লাইট ইত্যাদি ব্যাটারিনির্ভর ডিভাইস। ব্যাটারির চার্জ না থাকলে এগুলো অকেজো। কাজে যাওয়ার আগে ব্যাটারিগুলো চার্জ করে নিতে ভুলবেন না।

• ফোন থাকবে এয়ারপ্লেন মোডে: স্মার্টফোন দিয়ে ভিডিও ও অডিও ধারণের সময় যাতে ইনকামিং কল চলে না আসে সেজন্য ফোনটিকে এয়ারপ্লেন মোডে রাখুন।

• ঘটনাস্থলে কোনো কিছু ডিলেট করবেন না: ঘটনাস্থলে থেকেই ভিডিও, অডিও ও ফটো ডিলেট করার প্রবণতা আমাদের অনেকের মধ্যে রয়েছে। এই প্রবণতা বিপদ ডেকে আনতে পারে, ভুলে ডিলেট হয়ে যেতে পারে প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট। তাই ঘটনাস্থলে কোনো কিছু ডিলেট না করা উত্তম।

• অতিরিক্ত মেমোরি রাখতে হবে: মোবাইলফোনের স্টোরেজে যাতে সবসময় পর্যাপ্ত জায়গা থাকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড যুক্ত করার সুযোগ থাকলে, অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড সঙ্গে রাখুন।

• ক্যামেরার সামনে আসাও স্মার্টনেস: সাংবাদিক হিসেবে সবসময় ক্যামেরার পেছনেই থাকতে হবে—এমন কোনো কথা নেই। সাংবাদিক হিসেবে ক্যামেরার সামনেও আসুন। এতে করে দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগটা আরো ভালো হয়, তারা বাস্তব চিত্রের সঙ্গে আরো বেশি ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পায়।

• সংবাদের খোঁজ রাখুন: বড় ঘটনা ঘটলে সবাই তার খবর পায়। এর বাইরে গিয়ে সংবাদ বা গল্প আবিষ্কার করতে হবে। এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে সংবাদ ও গল্প; চোখ-কান খোলা রাখলেই পাওয়া যায়। চোখ-কান খোলা রাখা মানে, পড়াশোনা বাড়ানো, মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করা, অন্যের করা কন্টেন্ট দেখা, মানুষের সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদি।

• সংবাদ প্রচারের মাধ্যম সম্পর্কে জানুন: আপনার করা প্রতিবেদনটি কোথায় প্রকাশিত হবে—ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নাকি টেলিভিশন, তা জানা জরুরি। ধরুন, ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত হবে, জানা থাকলে আপনি হয়তো হরিজন্টাল ফরম্যাটে ভিডিও না করে—ভার্টিক্যাল ফরম্যাটে ভিডিও করবেন।

• ডিউরেশন কতো জানা চাই: ভিডিওর ভিউরেশন কতো হবে জেনে নিন, সে অনুযায়ী শুট করতে হবে। ৬০ সেকেন্ডের রিল হলে ২০-৩০টি ফুটেজ হলে হয়, কিন্তু ৩ মিনিট বা তারও বেশি হলে প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ৬০-৭০টি ফুটেজ। ডিউরেশন সম্পর্কে জানা থাকলে, সাউন্ড বাইটও সে অনুযায়ী ছোট-বড় করে নেয়া যায়।

• স্টোরিটেলিং জানা জরুরি: হাতে ভালো ভিডিও, অডিও ও ছবি থাকলেই হবে না। সেগুলোকে কিভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবাদ বা গল্পে রূপান্তর করা যায় সে কৌশলও জানা চাই। এজন্য কোনো সংবাদ বা গল্প নিয়ে কাজ শুরু করার আগে সেবিষয়ে গভীর জ্ঞান নেয়া জরুরি। জানার পর তার একটি অ্যাঙ্গেল বা দৃষ্টিকোণ ঠিক করতে হবে। সে অনুযায়ী, গল্প বা সংবাদটিকে কম্পোজ বা সাজাতে হবে—এডিট করতে হবে। পূর্ব-পরিকল্পনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

• নিজে নিরাপদ না থাকলে সবই বৃথা: বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নিজেকে নিরাপদ রাখতেই হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি খবর সংগ্রহ করতে গেছেন, নিজেই খবর হতে যাননি।

• সাংবাদিকসুলভ আচরণ করুন: সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে চলুন। সংবাদ সংগ্রহের সময় ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, মতামত নিজের কাছে রাখুন। ধৈর্য্য ও বিনয়ের মাধ্যমে নিজের কাজটা শেষ করুন। কখনোই মেজাজ হারানো চলবে না।

মোবাইল সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ

মোবাইল সাংবাদিকতায় যে অনেক সুবিধা তা আমরা জানি। অসুবিধাও আছে। অসুবিধাগুলো অতিক্রম করা সম্ভব, তাই অসুবিধা না বলে চ্যালেঞ্জ বলা উচিত।

• বৈষম্যের শিকার হতে পারেন: সমাজে এখনো প্রথাগত সাংবাদিকতার প্রভাব রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ মোবাইল সাংবাদিকদের খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। আর পুরোনো ধ্যান-ধারণার সাংবাদিকরা মোবাইল সাংবাদিকদের অবজ্ঞার চোখে দেখে।

• নিঃসঙ্গতা: মোবাইল সাংবাদিককে একাই সবকিছু সামলাতে হয়। একা কাজ করা অনেক সময় কঠিন হতে পারে। তবে বুঝতে হবে—একা সবকিছুর দায় নেয়া মোবাইল সাংবাদিকের বৈশিষ্ট্য।

• অপেশাদারিত্ব: মোবাইল সাংবাদিককে যেহেতু খুব বেশি ও দামি সরঞ্জাম দিতে হয় না—বেতনও কম, তাই সংবাদমাধ্যমগুলো বেশি বেশি মোবাইল সাংবাদিক নিচ্ছে। অনেক সময় অনভিজ্ঞ, অপেশাদার এবং কম শিক্ষিত লোকজনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, তাতে করে সাংবাদিকতার মান খারাপ হচ্ছে।

• ক্যামেরার সীমাবদ্ধতা: মোবাইলফোন ক্যামেরার সুবিধা অনেক। অন্যদিকে দামি ও ভারি ভারি ক্যামেরার তুলনায় স্মার্টফোনের সীমাবদ্ধতাও বেশি। যেমন—অপটিক্যাল জুম নেই, থাকলেও তা সীমিত।

• অডিও গ্রহণে সীমাবদ্ধতা: আলাদা মাইক্রোফোন না থাকলে সমস্যায় পড়তে হয়। মাইক্রোফোন ছাড়া স্মার্টফোনে অডিও ধারণ কাঙ্ক্ষিত হয় না। এজন্য অডিওর উৎসের খুব কাছে থাকতে হয়, তারপরও ত্রুটি থেকে যায়।

• মোবাইল ডাটা নির্ভরতা: বেশিরভাগ সময় মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকতে হয়। কোনো কারণে ইন্টারনেট বিঘ্নিত হলে আপনার কাজও থমকে যাবে।

• ব্যাটারি-দুর্বলতা: স্মার্টফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, লাইভ স্ট্রিমিং চলার মাঝপথেই ফোন বন্ধ হয়ে গেছে।

• স্টোরেজ-সীমাবদ্ধতা: এখন দু-একটি স্মার্টফোনে এক টেরাবাইট স্টোরেজ থাকে। সেসব ফোন কেনার সামর্থ্য সবার নেই। তাই এখনো সাধারণ স্মার্টফোনের স্টোরেজ-সীমাবদ্ধতা মোবাইল সাংবাদিকতার জন্য সঙ্কট। ভিডিও, ছবি ও অডিও অনেক জায়গা দাবি করে, একটি স্মার্টফোন সেই পরিমাণ জায়গা সরবরাহ করতে পারে না।

মোবাইল সাংবাদিকতায় যা যা না হলেই নয়

স্মার্টফোন: কমপক্ষে ফুল এইচডি (Full HD) ফরম্যাটে ভিডিও করা যায় এমন একটি স্মার্টফোন থাকতে হবে। ফোনের ভিডিও কোয়ালিটি ভালো কিনা তা জানা ভীষণ জরুরি, বিশেষ করে কম আলোতে কেমন—তা ফোন কেনার আগেই জেনে নিতে হবে।

মাইক্রোফোন: তারসহ বা তার ছাড়া (ওয়াইরলেস) মাইক্রোফোন থাকলে কাজের মান অনেক ভালো হয়। কেননা, ফোনের নিজস্ব (বিল্ট-ইন) মাইক্রোফোনের ক্ষমতা সীমিত।

মোবাইলফোন স্ট্যান্ড: মোবাইলফোনের জন্য একটি স্ট্যান্ড বা ট্রাইপড রাখা উচিত। হাতে রেখে ভিডিও ধারণ করলে নড়াচড়া নয়, দেখতে ভালো হয় না। আর ফোন দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখাও কঠিন।

ব্যাগ: একটি ভালো—তবে ছোট ব্যাগ থাকা চাই। ব্যাগটি এমন হতে হবে যাতে ট্রাইপডসহ সবগুলো সরঞ্জাম তাতে রাখা যায়।

পাওয়ার ব্যাংক: কোনো কারণে ফোন বা মাইক্রোফোন চার্জ শেষ হয়ে গেলেও যাতে দ্রুত চার্জ করা যায়—তার জন্য একটি ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখা যেতে পারে।

অতিরিক্ত ব্যাটারি: কোনো ডিভাইস যদি এক্সটার্নাল ব্যাটারিচালিত হয়, তাহলে অতিরিক্ত ব্যাটারি সঙ্গে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।

বিনামূল্যে কাজের অ্যাপ

• ফটো এডিটিং অ্যাপ: ক্যানভা (Canva), ফটো এডিটর (Photo Editor), লাইটরুম মোবাইল (Lightroom Mobile), আফটারলাইট (Afterlight), পিকসআর্ট (Picsart), স্ন্যাপসিড (Snapseed) ইত্যাদি

• ভিডিও এডিটিং অ্যাপ: কিনেমাস্টার (Kinemaster), ওপেন ক্যামেরা (Open Camera), ইউকাট (YouCut) ইত্যাদি

লেখক: সাংবাদিক, লেখক ও শিক্ষক

সারাবাংলা/এএসজি

মোজো সাংবাদিকতা সুদীপ্ত সালাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর