Wednesday 30 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাইবার অপরাধ: চ্যালেঞ্জ, সচেতনতা এবং প্রতিকার

সফিউল ইসলাম
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৪

‘ডিজিটাল জগতে নিরাপত্তা মানে শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, এটি সচেতনতার একটি শৃঙ্খল — যেখানে প্রতিটি ব্যবহারকারীই একেকজন ডিজিটাল রক্ষাকর্তা।’

তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন জীবন এখন অনেক বেশি ডিজিটাল নির্ভর হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন ব্যাংকিং, ডিজিটাল পেমেন্ট, ক্লাউড স্টোরেজ কিংবা স্মার্ট ডিভাইস এসব প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে যেমন সহজ করে তুলেছে, তেমনি বেড়েছে আমাদের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যের ঝুঁকিও। প্রযুক্তির এই বিপুল ব্যবহারে সুবিধার পাশাপাশি এসেছে এক নতুন ধরনের হুমকি ‘সাইবার অপরাধ’। ডিজিটাল নিরাপত্তা এখন আর কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিষয় নয়; এটি একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। সাইবার অপরাধের মাত্রা আজ আর কল্পনার বিষয় নয়। প্রতিদিনই নানান খবরের শিরোনামে উঠে আসছে হ্যাকিং, তথ্য চুরি, ব্যাংক জালিয়াতি, পরিচয় চুরি, অনলাইন প্রতারণা, এবং শিশু পর্নোগ্রাফির মতো ভয়াবহ অপরাধের তথ্য। এসব অপরাধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোও। একবিংশ শতাব্দীর এ সময়ে এসে ডিজিটাল নিরাপত্তা রক্ষা করা এখন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রের জন্য এক অপরিহার্য চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় সচেতনতার অভাবের কথা। অধিকাংশ মানুষ এখনও বুঝতে পারেন না, অনলাইনে তাঁদের তথ্য কীভাবে চুরি হতে পারে কিংবা কোন লিংকে ক্লিক করলে তাঁদের ফোন বা কম্পিউটার হ্যাক হতে পারে। একদিকে যেমন সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারে অদক্ষতা রয়েছে, অন্যদিকে অপরাধীরা দিন দিন হয়ে উঠছে আরও বেশি পেশাদার এবং আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্ত। এদেরকে শনাক্ত করা এবং আইনের আওতায় আনা হয়ে পড়ছে দিন দিন আরও জটিল। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায়, ভুক্তভোগীরা জানেন না কোথায় অভিযোগ করতে হবে, কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে বা কীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে প্রথম এবং সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করা। শিশু থেকে বৃদ্ধ, স্কুল শিক্ষক থেকে কৃষক, উদ্যোক্তা থেকে গৃহিণী প্রতিটি মানুষকে অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে হবে। যেমন কীভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হয়, কীভাবে সন্দেহজনক ই-মেইল বা ওয়েবসাইট চিনে ফেলতে হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিভাবে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করলে বিপদ হতে পারে, বা অনলাইন লেনদেন করার সময় কী সতর্কতা নেওয়া উচিত এসব বিষয় সকল স্তরের মানুষের জানা উচিত।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় পড়িয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না; বাস্তবজ্ঞান দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সচেতনতা কার্যক্রম চালাতে হবে। গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব কিংবা স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারগুলো ব্যবহার করে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাম্পেইন চালানো যেতে পারে। বিশেষত যেসব বয়সভিত্তিক গোষ্ঠী বেশি অনলাইন ব্যবহার করে, যেমন কিশোর-কিশোরী ও তরুণরা, তাদের জন্য আলাদা মনোযোগ দরকার। এছাড়া, প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও তাদের তথ্য সংরক্ষণ করে এমনভাবে, যা খুব সহজেই সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারে। ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক এনক্রিপশন না থাকা, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট না করা, দুর্বল ফায়ারওয়াল, অথবা অদক্ষ আইটি টিম এসব ফাঁকফোকর দিয়ে অপরাধীরা সহজেই প্রবেশ করতে পারে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে। এর ফলে শুধু যে আর্থিক ক্ষতি হয় তা নয়, প্রতিষ্ঠানের সুনামও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত নিয়মিতভাবে সাইবার সিকিউরিটি অডিট করা, তথ্য সুরক্ষা নীতিমালা তৈরি ও হালনাগাদ রাখা এবং কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া। কোনো ডেটা ব্রিচ ঘটলে কী করণীয়, কোথায় রিপোর্ট করতে হবে, কিভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায় এসব নিয়েও একটি স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট প্রক্রিয়া থাকা জরুরি। অনেকে মনে করে, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু সাইবার হামলার ঝুঁকিতে থাকে, কিন্তু বাস্তবে ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রায়শই অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু হয়, কারণ তারা সাধারণত নিরাপত্তার দিকে ততটা মনোযোগ দেয় না।

ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলাই যথেষ্ট। যেমন, একাধিক অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা, নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখা, অচেনা লিংকে ক্লিক না করা, সন্দেহজনক ফাইল বা অ্যাপ ডাউনলোড না করা, পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সচেতন থাকা। পাশাপাশি, মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোও অত্যন্ত জরুরি। সাইবার অপরাধ অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক মাত্রার, তাই এ ধরনের অপরাধ দমন করতে হলে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও প্রশিক্ষিত জনবল। বাংলাদেশে বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রয়েছে, তবে এটি কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত প্রয়োজন। শুধু আইন থাকলেই চলবে না, বরং আইনকে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারে সেই ব্যবস্থাও রাখতে হবে। সাইবার অপরাধের শিকার হলে অনেকেই হয়তো সামাজিক কারণে মুখ খুলতে চান না, বিশেষ করে নারী ও কিশোরীরা। তাদের জন্য আলাদা অভিযোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানসিক সহায়তা দিতে পারলে অনেক অপরাধই দ্রুত শনাক্ত এবং প্রতিহত করা সম্ভব।

তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা কেবল ভয়ভীতির জায়গা নয়; বরং এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের একটি ভিত্তি। আমরা যদি এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির সুফল আরও নিরাপদভাবে ভোগ করা সম্ভব হবে। ই-কমার্স, ডিজিটাল ফিনান্স, ই-গভর্ন্যান্স, স্মার্ট সিটি সবকিছুই নির্ভর করছে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তার মানের উপর। একজন সচেতন ব্যবহারকারী যেমন নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন, তেমনি একটি সচেতন রাষ্ট্র তার নাগরিকদের ডিজিটাল জীবনের সুরক্ষা দিতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার যেমন আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে, তেমনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও হয়ে উঠছে অনিবার্য। আমাদের এখন প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত, আন্তঃসংস্থাগত ও সামগ্রিক উদ্যোগ, যার মাধ্যমে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাইবার অপরাধীদের দমন এবং আইনের আওতায় আনা যাবে।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা যদি সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসি, তাহলে ভবিষ্যতের একটি নিরাপদ, সচেতন ও প্রযুক্তিবান্ধব সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তাই এখনই সময়, নিজেদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করার, সচেতন হওয়ার এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার। এই ছাড়া আরো নির্দিষ্ট দিক যদি উল্লেখ করা হয় সেই ক্ষেত্রে শিশুদের সাইবার নিরাপত্তা, নারীদের সুরক্ষা, বা ব্যবসায়িক নিরাপত্তা বিষয়ে ও সচেতনতা জরুরী। আজকের শিশুরা বেড়ে উঠছে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টারনেট ঘেরা একটি পরিবেশে। তারা খুব কম বয়স থেকেই ইউটিউব, গেমিং অ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা চ্যাটবটের সাথে পরিচিত হচ্ছে। তবে প্রযুক্তির এই প্রবেশ শুধু শেখার সুবিধাই নয়, বরং নানা ধরনের ঝুঁকিও তৈরি করছে। অনুপযুক্ত কনটেন্ট, গোপন তথ্য শেয়ার করা, অনলাইন বুলিং, গেম অ্যাডিকশন, কিংবা ভার্চুয়াল হ্যারাসমেন্ট এসব শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হতে পারে।শিশুরা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এটাই স্বাভাবিক, তবে সেটি হতে হবে নিয়ন্ত্রিত ও অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে। শিশুদের জন্য উপযোগী কনটেন্ট নির্বাচন, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সক্রিয় রাখা, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিয়মিতভাবে তাদের অনলাইন কার্যক্রম নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা জরুরি। অভিভাবক, শিক্ষক এবং সমাজকর্মীদের ডিজিটাল লিটারেসির ওপর প্রশিক্ষণ থাকলে শিশুরা আরও নিরাপদভাবে অনলাইন দুনিয়ায় বিচরণ করতে পারবে। স্কুলে ‘সাইবার সেফটি ক্লাস’ চালু করা যেতে পারে, যেখানে শিশুদের সহজ ভাষায় শেখানো হবে কিভাবে একটি মেসেজ বা লিংক বিপদজনক হতে পারে। অন্যদিকে নারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করায় যেমন তাদের ক্ষমতায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে, তেমনি তারা অনলাইন হয়রানি, সাইবার স্টকিং, ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি, ছবির অপব্যবহার, এমনকি ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপরাধের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগী নারী মানসিক চাপে থাকেন এবং বিষয়টি প্রকাশ করতেও ভয় পান সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, অপমান কিংবা হুমকির ভয়ে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য দরকার প্রযুক্তি সচেতনতা এবং বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ ব্যবস্থাপনা। নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে কীভাবে নিজের প্রোফাইল নিরাপদ রাখা যায়, কার সাথে তথ্য শেয়ার করা নিরাপদ, এবং কোথায় গেলে সহায়তা পাওয়া যাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শক্তিশালী প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। তাছাড়া, একটি নারী-বান্ধব অনলাইন অভিযোগ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেতে পারে যেখানে অভিযোগ দাখিল করতে গেলে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত না হলেও হবে এবং দ্রুত সহায়তা পাওয়া যাবে। শুধু ভুক্তভোগী নারীদের নয়, সমাজের পুরুষ অংশকেও ডিজিটাল আচরণ ও সম্মানজনক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমের যৌথ উদ্যোগে নারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে একটা পরিবর্তন আনা সম্ভব। এই ছাড়া ও ব্যবসায়ীক নিরপত্তা নিয়েও উল্লেখ করা যায়। এই বিষয়ে ও নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা জরুরী। কারণ বর্তমান সময়ের প্রতিটি ব্যবসা কোনো না কোনোভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। ছোট দোকান থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি সবার ডেটা, লেনদেন, কর্মী ব্যবস্থাপনা এবং ক্লায়েন্ট তথ্য সব কিছুই ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকে। এই কারণে সাইবার হামলার ফলে ব্যবসায়িক ক্ষতি হতে পারে শুধু আর্থিকভাবে নয়, বরং সুনামহানিও ঘটতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ হুমকি হলো: র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ, ফিশিং ইমেইল, ইনসাইডার থ্রেট, এবং তথ্য চুরি। অনেক ছোট ও মাঝারি ব্যবসা মনে করে, ‘আমি তো বড় কোম্পানি না, আমাকে কে হ্যাক করবে? এই ধারনা ভুল। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা থাকতে হবে, যার মধ্যে থাকবে নিয়মিত ডেটা ব্যাকআপ, এনক্রিপশন, কর্মীদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা এবং সম্ভাব্য হামলার পরবর্তী করণীয় । তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যেকোনো ব্যবসা পরিচালনার আগে সাইবার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করা উচিত। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের তথ্য বা অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়া আবশ্যক। ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করলে বিশ্বাসযোগ্য সেবা প্রদানকারী নির্বাচন করতে হবে, এবং নিরাপত্তার সর্বোচ্চ স্তর নিশ্চিত করতে হবে।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ

সারাবাংলা/এএসজি

প্রযুক্তি ফিচার সফিউল ইসলাম সাইবার অপরাধ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর