পুরুষদের বাথরুমের দরজায় জীবানু থাকে ৬ গুন বেশি
২০ জুলাই ২০১৯ ১২:৩০
বাথরুম বা টয়লেট ব্যবহারের কিছু নিয়মাদি রয়েছে। তার মধ্যে টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করা, কমোডের সিটটি তুলে রাখা, বের হয়ে দরজা বন্ধ করে রাখা এগুলো রয়েছে। যা নিজের ব্যবহারের পর অপরের জন্য টয়লেটটি ব্যবহার উপযোগি করে রাখার জন্য জরুরি। তবে টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতায় সবচেয়ে বেশি যে কথাটি উচ্চারিত হয় সেটি হচ্ছে- টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধুয়ে ফেলা। অথচ একটি জরিপে দেখা গেছে অর্ধেক পুরুষই টয়লেট ব্যবহারের পর হাত না ধুয়ে বের হয়ে আসে। আর তাতে টয়লেটের দরজার নবে জমতে থাকে নানা ধরনের জীবানু। এ গবেষণা ব্রিটেনের। তবে চিত্রটি কমবেশি সকল দেশের জন্যই প্রযোজ্য।
গবেষকরা দেখেছেন, নারীদের বাথরুমের চেয়ে পুরুষদের বাথরুমের দরজায় অন্তত ছয়গুন বেশি জীবানু থাকে। আর টয়লেটের আসনে নারীদের চেয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে পাঁচগুন বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে।
টয়লেট ব্যবহারের হাত ধোয়ার অভ্যাস নারীদের তুলনায় পুরুষদের অনেক কম। যুক্তরাজ্যে দেখা গেছে সেখানকার অর্ধেক পুরুষই টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধোওয়ার বেসিন ব্যবহার করেন না। আর এ কারণে তাদের হাত থেকে দরজার নবে জীবানু বেশি থাকে। এতে একজনের কারণে অন্যজন বেশি ঝুঁকিতে পড়েন।
লন্ডনে সাম্প্রতিক এমন একটি জরিপের কথা জানাচ্ছে ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, গবেষকরা দেখেছেন, পুরুষদের বাথরুমের দরজাগুলোতে নারীদের বাথরুমের দরজার তুলনায় অন্তত ছয়গুন বেশি জীবানু থাকে। আর টয়লেট সিটগুলোতে ব্যাকটেরিয়া থাকে চারগুন বেশি। একারণে পাকস্থলীর ক্ষতিকর জীবানুগুলো অনায়াসেই একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে চলে যায়।
বাথরুম ব্যবহারকারীদের প্রত্যেকেরই উচিত বের হয়ে হাত ধুয়ে ফেলা। কিন্তু এ অভ্যাস পুরুষদের মধ্যে খুবই কম দেখা যাচ্ছে, জানাচ্ছেন গবেষকরা।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার একটি অভ্যাস অনেকের রয়েছে। তবে সেটি তারা করেন টয়লেট ব্যবহারের পর নিজের ডেস্কে ফিরে। মাঝে টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় যে নবটি ধরলেন তাতে হাতের জীবানু সেখানে থেকে যায়। এতে অন্য ব্যবহারকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।
সারাবাংলা/এমএম