কানাডার হালিফাক্সে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে নাগরিক সেবা
৩০ মার্চ ২০১৯ ১৪:২০
বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য এক দিনের কনস্যুলার বা নাগরিক সেবা দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নোভা স্কোশিয়া প্রদেশের রাজধানীর হালিফাক্স শহরের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে, প্রবাসীদের জন্য বেশকিছু সেবার আয়োজন করা হয়। এসব সেবার মধ্যে ছিলো, মেশিন রিডাবল পার্সপোর্ট (এমআরপি), জন্ম নিবন্ধন সনদ ও পার্সপোর্ট নবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হওয়া সেবায় কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেছে হালিফাক্স এর ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন অব নোভা স্কোশিয়া (বিডিসিএএনএস)।
কনসুল্যার সেবা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসাইন, কনসুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট কামাল হোসাইন এবং মাহফুয হোসাইন। অনুষ্ঠানে আসায় তাদের ধন্যবাদ জানান, বাংলাদেশ কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন অব নোভা স্কোশিয়ার নির্বাহী কমিটি, স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ এবং আগত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
তারা আশা করেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রম আরও অব্যাহত থাকবে। সীমিত লোকবল নিয়ে লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে আপ্রাণ সেবা দেওয়ার প্রয়াসের জন্য বিডিসিএএনএস বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
এছাড়া, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কানাডার নোভা স্কসিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশান অফ নোভা স্কশিয়া (বিডিক্যান্স)-এর উদ্যোগে পালিত হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাপ্তাহিক ছুটি বিবেচনায় উক্ত অনুষ্ঠানটি ২১ ফেব্রুয়ারীর পরিবর্তে ২৪ ফেব্রুয়ারি, হ্যালিফ্যাক্স কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি মিলনায়তনে উদযাপিত হয়।
নোভা স্কশিয়া প্রভিন্সিয়াল সরকারের স্পন্সরশিপে এবং বিডিক্যান্সের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি, কালচার ও হেরিটেজ মন্ত্রী লিও গ্ল্যাভাইন, ডেপুটি মেয়র টনি ম্যাঞ্চিনি, কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমানসহ প্রবাসী বাংলাদেশি এবং অন্যান্য কানাডিয়ান গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
কমিউনিটি, কালচার ও হেরিটেজ মন্ত্রী লিও গ্ল্যাভাইন নোভা স্কশিয়া সরকারের পক্ষ হতে বিশেষ বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে নোভাস্কসিয়ায় স্বীকৃতি ঘোষণা করেন।
হ্যালিফ্যাক্স রিজিওনাল মিউনিসিপালটি এবং মাননীয় মেয়র মাইক সেভেজ এর পক্ষ থেকে উক্ত মাতৃভাষা দিবসকে মিউনিসিপ্যালটির স্বীকৃতি প্রদানপূর্বক প্রোক্লেমেশন জারি করার ঘোষণা প্রদান করেন টনি ম্যাঞ্চিনি। এছাড়াও দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার লক্ষ্যে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মাননীয় হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি তার বক্তব্যে, প্রবাসে শিশুদের বাংলা ভাষা চর্চায় অধিকতর উৎসাহ প্রদান এবং বাংলা ভাষা শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রবাসের অভিভাবকদের বিশেষ অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের হাইকমিশনার বর্তমান বাংলাদেশের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ৭৫-এর শাহাদাৎ বরণকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানান হাইকমিশনার মিজানুর রহমান।
সারাবাংলা/এনএইচ