‘গ্রামীণ অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন করেছে এমএসএমই’
১৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:১০
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের শিল্প খাত (এমএসএমই) বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। জাতিসংঘ সদরদফতরে ‘নীতির স্পটলাইট: অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে অর্থায়নের উদ্ভাবনী কৌশল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ‘উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) ফোরাম’ এর চলতি অধিবেশনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইউএনডিপি ও ইউএনসিপিএফ। এছাড়া এর সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।
নজিবুর বলেন, এমএসএমই বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির অন্যতম ধারক এবং উদ্ভাবনীর চালক। এই সেক্টর দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধি ৮.১৩ হওয়ার ক্ষেত্রে এই সেক্টরের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
এমএসএমই এর উন্নয়নে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এমএসএমই এর অগ্রায়নে একটি আলাদা এসএমই ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করেছে। পুঁজি বাজারে এমএসএমই এর অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমএসএমই এর জন্য ‘এজেন্ট ব্যাংকিং স্কিম’ প্রবর্তন করেছে।
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি
বাংলাদেশিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার প্রসঙ্গে নজিবুর বলেন, দেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। দেশজুড়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ কোটি।
মোবাইল ব্যবহারকে ঘিরে বাংলাদেশে গড়ে ওঠা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর ব্যাপক বিস্তৃতি এবং সেই সাথে ব্যাংকিং, আর্থিক আদান-প্রদান ছাড়াও অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপস্ ভিত্তিক ব্যবসার ব্যাপক প্রসারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসকল তথ্য বিস্তারিত তুলে ধরেন মুখ্য সচিব। তিনি এসময় বলেন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে। আর একারণেই আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ তাদের সভায় বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রাখছে।
এদিকে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ একই দিনে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এফএফডি’র আরেকটি এমন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ, জার্মানি, হন্ডুরাস, মালাওয়ি এবং বেসরকারি সংস্থা সিএসও পার্টনারশিপ ফর ডেভেলপমেন্ট ইফেকটিভনেস।
অনুষ্ঠানে মনোয়ার বলেন, বর্তমান সরকার এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত, গণমাধ্যমসহ সকল অংশীদারকে এসডিজির বাস্তবায়ন, অর্থায়ন ও কর্মসূচি প্রণয়নে সম্পৃক্ত করছে। আর এরফলে সমাজের সকল স্তরে সমানভাবে উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে।
এদিকে বিকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। সেখানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন মিশনের সার্বিক কার্যক্রম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিস্তারিত কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আরও বলেন, সবাই মিলে কাজ করে সরকারের রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এফএফডির ৪র্থ ফোরাম আগামী ১৮ এপ্রিল শেষ হবে। অনুষ্ঠানটিতে এফএফডির ৪র্থ ফোরামে যোগদানকারী বাংলাদেশ ডেলিগেশনের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএ