প্রবাসে ‘বাংলা’র ফেরিওয়ালা রাজীব হাসান
১৮ মে ২০১৯ ১৮:০২
ঢাকা: প্রবাস জীবন মানেই শূন্যতা। তবু নানা প্রয়োজনে শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি, বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গ ফেলে যেতে হয় দূর পরবাসে। বেড়াতে কিংবা কাজে যাদের বিদেশে যেতে হয় তারাও জানেন, অচেনা-অজানা জায়গায় বাংলাদেশি বা বাংলাভাষী কারো সঙ্গে দেখা হলে কত ভালো লাগে।
এখান থেকে অনুমান করা যায়, বিদেশে সন্তান বাংলা পড়তে, বলতে এবং লিখতে পারলে প্রবাসী বাবার ঠিক কতটা আনন্দ হতে পারে।
রাজীব হাসান চৌধুরী। বর্তমানে বসবাস করছেন কানাডার টরেন্টোতে। একই ভাবনা ভাবিয়েছে তাকেও। ছেলে জীয়নকে বাংলা শেখাতে গিয়ে তার সংগ্রহে এসেছে নানা অভিজ্ঞতা। আর সেখান থেকেই শুরু নতুন এক অধ্যায়ের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফোনেটিক ভাষায় সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন ‘ব থেকেই বাংলার শুরু’ পেইজ। সেখানে রাজীব তার অভিজ্ঞতার কথাগুলো শেয়ার করেছেন, যা থেকে উপকৃত হয়েছেন আরও অনেক প্রবাসী।
মাত্র শুরু হওয়া পেইজটিতে লাইক রয়েছে ১ হাজার ৪৯৫টি এবং ফলোয়ার রয়েছে ১ হাজার ৫৩৬টি।
পেইজটি ভিজিট করতে ক্লিক করুন: ব থেকেই বাংলার শুরু
রাজীব হাসান চৌধুরী তার পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের মতো যারা বিদেশে থাকেন, আর যারা খুব করে চান যেন তাদের বাচ্চারা বাংলা পড়তে আর লিখতে পারে; এই ভিডিওটা তাদের জন্য। আমি আমার সাড়ে ৬ বছরের ছেলের ওপর একটা এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছিলাম, যেটার ফলাফল বেশ সন্তোষজনক। সে তিন সপ্তাহের মধ্যে মোটামুটি ভালভাবে বাংলা লিখতে ও পড়তে শিখে গেছে। বন্ধুদের অনুরোধে আমাদের পদ্ধতিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। যদি কারো কোনো প্রশ্ন থাকে, জানাবেন। আমার ভালো লাগবে যদি আপনারাও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে আপনাদের ছেলেমেয়েকে বাংলা শিখিয়ে ফেলতে পারেন।’
পনেরো মিনিটের ভিডিওতে তিনি দেখিয়েছেন, সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে বাচ্চাদের বাংলা ভাষা শেখানো যায়। এখানে বর্ণ ক্রম, ব্যাকরণের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেননি তিনি কিন্তু প্রবাসী কমিউনিটির সাড়াই বলে দিচ্ছে তার উদ্ভাবিত পদ্ধতি শিশুদের ভাষা শেখাতে কতটা কার্যকর।
শিশুরা যেন বাংলা বর্ণ সহজে মনে রাখতে পারে, তাই তিনি ব থেকে শুরু করার পরামর্শ দেন। আ-কার, ও-কার, ই-কার, উ-কার শেখানোর পরে ব বর্ণের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন অক্ষরগুলো শিশুদের সেখাতে বলেন রাজীব। যেমন ক, র, ধ। ত শেখানোর পরে অ, আ/ ড, ড়/ খ, থ, ম, স।
প্রতিদিন নতুন নতুন বর্ণ ধাঁধা, শব্দ মেলানোর মতো অনুশীলনের মাধ্যমে কিভাবে শিশুদের চর্চায় রাখা যাবে সেই পদ্ধতিও দেখিয়েছেন রাজীব।
সারাবাংলা/এটি