Tuesday 03 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এডমন্টনে ‘একুশ ও স্বাধীনতা’ উদযাপন


১১ মার্চ ২০২০ ১৫:১৭ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ১৫:২০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২১তম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ৫০তম স্বাধীনতা দিবস পালন করেছেন কানাডার এডমন্টনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। গত শনিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব এডমন্টন (বিসিএই)-এর উদ্যোগে ‘একুশ ও স্বাধীনতা’ শিরোনামে সেজং মাল্টিকালচারাল সেন্টারে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাধারণত ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চ এর মাঝামাঝি কোনো এক সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এই আয়োজন করে বিসিএই। যেন অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে পরিবার পরিজন নিয়ে অংশ নিতে পারেন।

সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বিসিএই’র সভাপতি এইচ এম আশরাফ আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্যে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে স্থানীয় শিল্পীরা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, একুশ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গান পরিবেশন করেন। সেজং মাল্টিকালচারাল সেন্টারের মঞ্চে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা শহীদ মিনারে প্রতীকী প্রভাত ফেরির মাধ্যমে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

উপস্থিত সবাই সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গনো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি’।

সন্ধ্যায় বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিরা। তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এডমন্টনে প্রবাসি বাংলাদেশিদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন আলবার্টা সরকারের সেবা মন্ত্রী (সার্ভিস আলবার্টা) নাট গ্লুবিশ, কানাডার  হাউজ অব কমন্স-এর এমপি এবং ছায়া স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাট জেনেরক্স, এম এল এ রড লয়লা এবং আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য (হেরিটেজ) ও ভাষা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড. আন্তনেলা করতেস।

অতিথিরা সরকার ও সংগঠনের পক্ষ থেকে  বি সি এ ই এবং প্রবাসি-বাংলাদেশিদের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা ও স্বীকৃতি সনদ নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে, সমাজ-সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ড. সৈয়দ আমির আলীকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।

এরপর রাতেরর খাবার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের অংশ গ্রহণে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসময় অমর একুশ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, গুরুত্ব,  গৌরব, এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়।

ছিল সব বয়সীদের নিয়ে সমবেত সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা আবৃতি ও নির্বাক গীতিনাট্য ‘ধর্ম যার যার, দেশ সবার’। ড. জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় এই গীতিনাট্যর মাধ্যমে ধর্মীয় বিভাজন ও মানুষে মানুষে ভেদাভেদ না করতে আহ্বান জানানো হয়।

একুশ ও স্বাধীনতা এডমন্টন প্রবাসী কানাডার এডমন্টন ড. এইচ এম আশরাফ আলী