Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ টরন্টোয়


১ মার্চ ২০১৮ ১০:১১

গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ২০১৮ এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর হত্যাযজ্ঞে হারানো সকল সূর্যসন্তানদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে কর্নেল মুজিব ট্রাস্ট, অন্য থিয়েটার , অন্যস্বর, রেডিও মেট্রো মেইল, নন্দন টেলিভিশন, এবং টরন্টো থিয়েটার ফোকস।

শ্রদ্ধার্ঘ্যের এই বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয় ‘ টরন্টো শহর থেকে ফেসবুকে সরাসরি প্রচার করা হয় টরন্টো সময় রাট ৯ টায়।

বিজ্ঞাপন

পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম এক ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় দেশমাতৃকার সেবায় অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে শহীদ হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। ঘটনায় সর্বমোট ৭৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়। একটি ঘটনায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এত অধিকসংখ্যক উচ্চ প্রশিক্ষিত মেধাবী সেনা কর্মকর্তার হত্যার ঘটনা সাম্প্রতিক ইতিহাসে আর একটিও নেই।

বিডিআর হত্যাযজ্ঞে শহীদ সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত সবাইকে স্মরণকরে প্রারম্ভিক কথা বলে অনুষ্ঠান শুরু করেন শহীদ কর্নেল মুজিবের ছোট ভাই জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা ইমামুল হক। তিনি ৫৭ জন শহীদের নাম উল্লেখ করে প্রত্যেক শহীদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বলে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

নাট্য ব্যাক্তিত্ব আহমেদ হোসাইন এবং আবৃতি শিল্পী দিলারা নাহার বাবু ‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ সেনাকর্মকর্তাদের স্বজন এবং সহকর্মীরা স্মৃতিচারণ করে শহীদদের জীবনের নানান দিকের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। সংগীত শিল্পী উইনিং এর চন্দন অনুষ্ঠানে শহীদদের উৎসর্গ করে সংগীত পরিবেশ করেন। কবি ও আবৃতি শিল্পী মেহরাব রহমান বিডিআর ঘটনার পরপর শহীদ কর্নেল মুজিবকে উৎসর্গ করে একটি কবিতা লেখেন। অনুষ্ঠানে তিনি সেই কবিতাটি আবৃতি করে শোনান। আহমেদ হোসাইন ও দিলারা নাহার বাবু ও আবৃতি করেন।

বিজ্ঞাপন

জীবদ্দশায় আমাদের হারানো শহীদ সেনা কর্মকর্তারা নানা উপলক্ষে দেশে-বিদেশে তাঁরা আমাদের দেশকে গর্বিত করে গেছেন, তাঁরা তাঁদের বিক্রম দেখিয়েছেন, মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন, সহকর্মীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন সে সব বিষয়ে কথা বলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহেদ মোহাম্মদ নেয়াজ , অবসরপ্রাপ্ত মেজর মুনির , শহীদ লেঃ কর্নেলআজমের ভাই মোস্তফা মাহমুদ এবং কর্নেল মুজিবের ভাই ইমামুল হক।

অনুষ্ঠানে বীর শহীদদের বন্ধু, সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা শোক আর ক্ষোভকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যাক্ত করে ২৫ ফেব্রুয়ারি কে দাপ্তরিক ভাবে ‘শহীদ সেনা দিবস ‘ হিসাবে ঘোষণার দাবি জানান।

আমাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে, জাতিকে গৌরবোজ্জ্বল করতে এবং শহীদদের জীবন উৎসর্গের প্রতীকী রূপকে কর্নেল মুজিব ট্রাস্ট ও তার সহযোগী সংগঠন প্রতি বছর বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করে।

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন

ইত্যাদি এবার মোংলায়
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৪

আরো

সম্পর্কিত খবর