সারাবাংলা ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) কর্তৃক ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল’ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তুরস্কের আঙ্কারা দূতাবাস।
দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দূতাবাস প্রাঙ্গণের ওই অনুষ্ঠানের শুরুতে মহমান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শিত হয়। এ ভাষণের পরিচিতি ও প্রসারের লক্ষ্যে তা বাংলা, ইংরেজী ও তূর্কী ভাষায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ভাষণ ছিলো দেশবাসীর প্রতি স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি শুধু এ ভাষণের স্বীকৃতি নয়; বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতিগঠনে তাঁর অপরিমেয় অবদানের স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি আকাংখার-ও স্বীকৃতি। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর আগত অতিথিবৃন্দ এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে তুরস্কে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী, বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাংলাদেশী খাবারের মাধ্যমে আপ্যায়ণ করা হয়।
সারাবাংলা/বিজ্ঞপ্তি/এমএস