Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কলকাতায় বাংলাদেশ ভবন, কার্যক্রম নির্ধারণে বিশ্বভারতীতে বৈঠক


১৮ এপ্রিল ২০১৮ ১৯:১৮

।। শুভজিৎ পুততুন্ড, কলকাতা থেকে ।। 

কলকাতা: বিশ্বভারতীতে শিগগির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে নতুন চকচকে বাংলাদেশ ভবন। কিন্তু কী হবে বাংলাদেশ ভবনের কর্মপদ্ধতি ও কার্যকলাপ তার প্রথামিক রূপরেখা চূড়ান্ত করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অফিস প্রাঙ্গণে বৈঠকে বসলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজ কলি সেন ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং  মন্ত্রণালয়ের ৯ প্রতিনিধি ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দিরা ভবনের পেছনের জমিতে বাংলাদেশের অর্থায়নে ১১ হাজার স্কয়ার মিটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ভবনের কাজ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও প্রতিনিধি দল। দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মহম্মদ নাসিরুদ্দিন আহমেদ, পবলিক লাইব্রেরির মহাপরিচালক আশিষ কুমার সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জল লতিফ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী।

এদিন বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ঘুরে দেখেন তারা। পরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হাতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ম্যাগাজিন ও বাংলাদেশের খ্যাতনামা লেখকদের সংকলনে স্মরণিকা বই এবং চিত্র শিল্পী জামালের ১০১টি অঙ্কন চিত্রের বই তুলে দেন ।

বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জনান, বাংলাদেশ ভবনের দায়িত্ব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে। ভবন উদ্বোধোনের পরেই তা বিশ্বভারতীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেবে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ সরকারের দাবি মেনে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধিকেও নিয়োগ দেওয়া হবে এই বাংলাদেশ ভবনে ।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে মন্ত্রী এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদ মিনার তৈরির জন্য আবেদন জানান বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজ কলি সেনের কাছে । তিনি জানান, বিশ্বভারতীতে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয় । তাই এখানে ভাষা শহীদ মিনার তৈরি হলে মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব বাড়বে। ভাষা দিবস এখন সব দেশে প্রাধান্য পাচ্ছে।

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, দুই বাংলার সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে একইসঙ্গে যেসব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা রবীন্দ্র অনুরাগী, দুই বাংলার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করতে ইচ্ছুক- তাদের জন্য সব ধরনের পঠন-পাঠনের সুযোগ করে দেওয়া হবে। দুই বাংলার মেলবন্ধন গুরু দেবের কবিতা ও লেখাতে দেখতে পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগেই ওই ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। ১১ হাজার বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ভবনের জমি দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। বাংলাদেশের ২৫কোটি রুপি অর্থায়নে যার মূল ভবন তৈরি হয়েছে। যেখানে ৪৫৩ আসনের সুবিশাল অডিটোরিয়াম থেকে মিউজিয়াম, ক্লাসরুম, ক্যাফেটেরিয়াসহ থাকছে বিশাল আয়োজন। ভবনটিতে থাকছে প্রায় ১০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাবস্থা।

সারাবাংলা/এমএস/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook 

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর