কানাডায় সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চিকিৎসক
১৪ মে ২০১৮ ১৪:২৮
টরোন্টো: কমিউনিটি ও এনজিও সেক্টরে বিশেষ অবদানের জন্যে ‘পেস-আরএমএম উইম্যান এচিভারস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তানজিনা মির্জা।
গত শনিবার (১২ মে) বিকেল ৩টায় শহরের আলবার্ট ক্যাম্পবেল ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরী মিলনায়তনে কবি আসাদ চৌধুরীর হাত থেকে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
টরোন্টোর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেসিভ অ্যাকশন ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট (পেস) এবং রেডিও মেট্রো মেইল (আরএমএম) বিশেষ আনুষ্ঠানিকতায় এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এ বছরের ‘উইম্যান অফ ডিস্টিংশন’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য গতমাসেই চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিলেন মির্জা।
তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। কমিউনিটি হেলথ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিতে তিনি পিএইচডি করেছেন। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এনজিও ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা, বেসরকারি সংস্থায় কাজের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, জনসংখ্যা তহবিলসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
চিকিৎসক মির্জা প্ল্যান কানাডার আন্তর্জাতিক কার্যক্রম বিভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেখানে ১৫০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ বিশ্বব্যাপী নানা কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা প্ল্যানের আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে বিভিন্ন দেশকে কারিগরি সহায়তায় দিয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘কানাডার মাল্টিকালচারাল ও সহনশীলতার পরিবেশ আমাদের বিশেষকরে নারীদে তাদের শক্তি, সদিচ্ছা ও সামর্থে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। এমন উদ্যোগকে আমি প্রশংসা করি।’ উইমেন অ্যাচিভার্স পুরস্কার উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ দেন তিনি।
তানজিনা মির্জা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় নারীরা কথা কম বলেন এমন সংস্কৃতি রয়েছে এবং এই অঞ্চলের নারীদের স্বভাবসুলভ বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশকে উৎসাহিত করা হয় না। এখন কানাডায় ফেমিনিস্ট সরকার। তারা সমঅধিকারে বিশ্বাস করে। দেশকে ভালোবাসার পাশাপাশি আমাদের কানাডাকেও সেবা দিতে হবে।’
সারাবাংলা/এমআইএস