গত দুই দিনের টানা বৃষ্টি নগরবাসীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে—এখন ভরা বর্ষাকাল। গ্রীষ্মের দাবদাহ আর ধুলাবালির ক্লান্তি পেরিয়ে এই রিমঝিম বৃষ্টি শহরের বাতাসে যেন নতুন করে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। তবে স্বস্তির পাশাপাশি এই অনিয়মিত বৃষ্টি আবার শহুরে জীবনে নিয়ে আসছে কিছুটা ভোগান্তিও।
প্রতিদিনের মতোই সকাল বেলায় অনেকে পরিপাটি হয়ে, ছাতা-ব্যাগ গুছিয়ে অফিস বা কাজে বের হন। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে যদি হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি এসে সব সাজগোছ ভাসিয়ে দেয়— তাহলে বিপদে পড়তে হয় আমাদেরই। অনেকেই ছাতা নিয়ে বের হলেও বাতাসে ছাতা উল্টে যায়, আবার অনেকে ছোট ছোট জলাবদ্ধতা এড়াতে গিয়ে পায়ে কাদামাটি মাখেন।
তবে এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব যদি আমরা বের হওয়ার আগে একটু বাড়তি সতর্ক হই। প্রথমেই অবশ্যই মানসম্মত বড় ছাতা ব্যবহার করতে হবে, যা বাতাসে সহজে উল্টে না যায়। ব্যাগে হালকা রেইনকোট রাখলে অফিসপথে বা বাজারে হঠাৎ বৃষ্টি সামলানো সহজ হয়। অনেকেই এখন ওয়াটারপ্রুফ জুতা ব্যবহার করছেন—জুতা ভিজে গেলে যে অস্বস্তি হয়, তা থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে।
বাইরে বেরোনোর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নেয়া উচিত। প্রয়োজনে ব্যাগে পলিথিন বা ওয়াটারপ্রুফ কাভার রাখলে মোবাইল, কাগজপত্র বা ল্যাপটপ ভিজে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, বৃষ্টি মানেই ভোগান্তি নয়— সঠিক প্রস্তুতি থাকলে এই বর্ষাকালের রিমঝিম ধারা আমাদের দিনের ক্লান্তি দূর করতে পারে।
তাই আসুন, বর্ষাকে দোষ না দিয়ে, বরং নিজের দায়িত্বে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নিই। বৃষ্টির দিনে ভিজে যাওয়া নয়, হোক বৃষ্টিকে উপভোগ করার আনন্দ!