বর্ষাকাল আমাদের প্রকৃতির কাছে এক বড় আশীর্বাদ, আর এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের শহর, মহল্লা, এমনকি নিজের বাসার চতুর্দিকটাকেও সবুজে ঢেকে দেওয়া সম্ভব। একটুখানি ইচ্ছা আর সামান্য যত্নেই আমরা নিজেদের চারপাশে গড়ে তুলতে পারি একটি ছোট সবুজ জগৎ, যা একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করবে, তেমনি আমাদের মানসিক প্রশান্তিও এনে দেবে।
শহরের কংক্রিটের বুকে অজস্র মানুষের ভিড়, যানবাহনের ধোঁয়া আর শব্দের চাপে প্রকৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ নিজের বাসার ছাদ, বারান্দা, এমনকি জানালার ধারে ছোট ছোট টবেই আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি এক টুকরো সবুজ। শাকসবজি, ফুলের গাছ, ভেষজ উদ্ভিদ — যা খুশি, সামান্য যত্নেই বাড়তে থাকে বৃষ্টির ছোঁয়ায়।
বর্ষার মাটি নরম থাকে, বীজ বা চারা সহজেই বসানো যায় আর প্রাকৃতিক বৃষ্টির পানি গাছকে বাঁচিয়ে রাখে তেমন কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই। তাই এ সময়টিতে বেশি বেশি গাছ লাগানো না মানে প্রকৃতিকে অবহেলা করা।
শুধু নিজেদের ঘরের সৌন্দর্য নয়, গাছ আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে বিশুদ্ধ রাখে, বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায়, শহরের উত্তাপ কিছুটা হলেও কমায়। তাছাড়া ছাদে বা বারান্দায় গাছ লাগালে পরিবারের ছোটরাও গাছের যত্ন নিতে শিখবে, প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
সুতরাং বর্ষাকালকে হাতছাড়া না করে আসুন, ছাদে, বারান্দায়, বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গায় ছোট ছোট গাছের বাগান গড়ে তুলি। এক দিন হয়তো আমাদের হাতের লাগানো সেই গাছই এই শহরকে ফিরিয়ে দেবে নতুন প্রাণ, নতুন বাতাস, আর আমাদের জীবনকে করবে আরও সতেজ।