মধু মাস জৈষ্ঠ্য এলে বাঙালির রান্নাঘরে আচারের মৌ মৌ গন্ধে ভরে ওঠে চারপাশ। কাঁচা আম, জলপাই, লেবু, বরই — কী নেই তালিকায়! কিন্তু যত্ন না নিলে এই মজার আচারই বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বর্ষার ভেজা দিনে আচারের যত্নে চাই বাড়তি সতর্কতা।
আচার কেন বর্ষায় নষ্ট হয়?
আচার সংরক্ষণের মূল শর্তই হলো সূর্যের প্রচুর তাপ। জৈষ্ঠ্য-আষাঢ়ের পালাবদলে রোদ ঢেকে দেয় মেঘ। ফলে আচার ভিজে যায়, ভিতরে সহজেই ছত্রাক বা ফাংগাস জন্মায়।
যত্নের কৌশল _
১. শুকনো পাত্রই প্রথম শর্ত:
আচার সংরক্ষণে ব্যবহৃত কাচের বোতল বা জার ভালোভাবে ধুয়ে একেবারে শুকিয়ে নিতে হবে। সামান্য পানি থাকলেই ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেবে।
২. সরিষার তেল — আচারের ঢাল:
আচার সবসময় তেলে ডুবে থাকবে — এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। সরিষার তেল ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করে। রোদ না পেলে মাঝে মাঝে আচারে নতুন করে গরম সরিষার তেল ঢেলে দিন।
৩. শুকনো লাল মরিচ ও লবণ:
লবণ বেশি থাকলে আচার টিকবে বেশি দিন। শুকনো লাল মরিচও প্রাকৃতিক সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে।
৪. রোদ নেই? ওভেন আছে!
রোদ না পেলে আচারের জার কিছুক্ষণ ওভেনে হালকা গরম করে রাখা যেতে পারে। তবে খুব বেশি গরম নয় — তেলের স্বাদ যেন না বদলে যায়।
৫. ফ্রিজই ভরসা:
ছোট জারের আচারের অংশ ফ্রিজে রাখা যায়। বিশেষত লেবুর আচার সহজেই ফ্রিজে দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
৬. শুকনো চামচ ব্যবহার করুন:
আচার নিতে কখনো ভেজা হাত বা চামচ ব্যবহার করবেন না। এতে ফাংগাস দ্রুত জন্মায়।
শেষ কথা _
আচার বাঙালির গর্ব — মায়ের হাতের আচার খেতে গরম ভাত আর একটু ডাল কিংবা খিচুড়ির স্বাদেই আছে বাঙালিয়ানা। তাই বৃষ্টি যতই আসুক, একটু বাড়তি যত্নেই আপনার প্রিয় আচার থাকবে সারা বছর ভর।