আপনি জানলে অবাক হবেন, ডিম শুধু শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে না, এটি রূপচর্চার দিক থেকেও দারুণ কার্যকরী! আমাদের ঘরেই থাকা এই সহজলভ্য উপাদান দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া যায় একেবারে প্রাকৃতিকভাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চায় ডিমের কিছু ঘরোয়া টিপস …
১. তেলতেলে ত্বকের জন্য ডিমের সাদা অংশের মাস্ক _
ডিমের সাদা অংশে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন –
একটি ডিমের সাদা অংশ ফেটে মুখে লাগান।
১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এটি ত্বক টানটান করে এবং ব্রণ রোধে সাহায্য করে।
২. রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে ডিমের হেয়ার মাস্ক _
ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রোটিন ও ভিটামিন যা চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন –
একটি ডিমের কুসুমের সাথে ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করুন।
৩. ডিম ও মধুর ফেসপ্যাক – উজ্জ্বল ত্বকের জন্য _
মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, আর ডিম টানটান ভাব আনে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন –
ডিমের সাদা অংশের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান।
শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সতেজ।
৪. ডিম ও লেবুর মাস্ক – ব্ল্যাকহেডস দূর করতে _
ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস একসাথে ব্ল্যাকহেডস কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি –
একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নাক বা চিবুকের অংশে লাগান।
শুকিয়ে গেলে টান টানভাবে তুলে ফেলুন।
৫. ডিম দিয়ে চোখের নিচের বলিরেখা কমানো _
ডিমের সাদা অংশ চোখের নিচে হালকা করে লাগিয়ে রাখলে বলিরেখা কমে আসে।
তবে সাবধান! চোখের ভিতরে যেন না যায়।
সতর্কতা _
যাদের ডিমে অ্যালার্জি আছে, তারা আগে স্কিন প্যাচ টেস্ট করে নেবেন।
ডিম ব্যবহারের পর ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।
শেষ কথা হলো _
ঘরোয়া রূপচর্চায় ডিম এক অনন্য উপাদান, যার প্রভাব আপনি নিজেই ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কেমিক্যাল ছাড়াই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাইলে ডিম হতে পারে আপনার পরবর্তী বিউটি সিক্রেট!