আপনি নিজের শরীরকে ফিট রাখতে চান, কিন্তু দৌড়ানো একেবারেই ভালো লাগে না? চিন্তার কিছু নেই! সুস্থ-সবল থাকার জন্য প্রতিদিন দৌড়ানো বাধ্যতামূলক নয়— হাঁটা হতে পারে এর সহজ ও কার্যকর বিকল্প। সঠিক নিয়মে নিয়মিত হাঁটলেই মিলতে পারে ফিটনেসের সব উপকার।
হাঁটার উপকারিতা কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, দিনে অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, স্থূলতা এমনকি মানসিক চাপ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। হাঁটা হলো এমন একটি ব্যায়াম যা প্রায় সব বয়সের মানুষ করতে পারেন এবং এতে চোটের সম্ভাবনাও কম।
কীভাবে হাঁটবেন?
১. সময় ঠিক করুন:
হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করুন। সকালে বা সন্ধ্যায় ৩০-৪০ মিনিট হাঁটা সবচেয়ে উপযোগী। যদি একবারে সম্ভব না হয়, তাহলে ১০-১৫ মিনিট করে দিনে দুই-তিন বার হাঁটলেও উপকার পাবেন।
২. গতি ও ছন্দ:
সাধারণ গতিতে নয়, একটু দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করুন। যেন কথা বলা যায়, কিন্তু গান গাওয়া না যায়—এমন গতি ধরে রাখুন। এতে হার্টরেট বাড়বে, ক্যালোরি বার্ন হবে, আর শরীর ফিট থাকবে।
৩. সঠিক ভঙ্গি:
হাঁটার সময় মাথা সোজা রাখুন, কাঁধ খোলা রাখুন ও পেটটাকে সামান্য ভেতরের দিকে টেনে রাখুন। হাত দোলাতে দোলাতে হাঁটলে শরীরের উপরের অংশও সক্রিয় থাকে।
৪. আরামদায়ক পোশাক ও জুতা:
হাঁটার জন্য হালকা, আরামদায়ক পোশাক ও সাপোর্টযুক্ত জুতা বেছে নিন। এতে হাঁটায় স্বাচ্ছন্দ্য থাকবে এবং পায়ের ওপর চাপ কম পড়বে।
৫. ট্র্যাক করুন অগ্রগতি:
আপনার হাঁটার সময়, গতি, ক্যালোরি খরচ ইত্যাদি মাপতে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি প্রতিদিনের অগ্রগতি বুঝতে পারবেন এবং অনুপ্রাণিত থাকবেন।
হাঁটার সময় যা করবেন না _
খালি পেটে বা ভরা পেটে হাঁটবেন না:
খুব গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় অসতর্কভাবে হাঁটবেন না।টানা হাঁটলে হাঁপিয়ে গেলে একটুখানি বিরতি নিন
হাঁটার সাথে আর কী করবেন?
পর্যাপ্ত পানি পান করুন,
পর্যাপ্ত ঘুমান,
স্বাস্থ্যকর খাবার খান,
দিনের মধ্যে এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থাকবেন না।
শেষ কথা _
দৌড়াতে না চাইলে দোষ নেই। তবে শরীরকে ফিট রাখতে চাইলে বিকল্প হিসেবে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হাঁটা শুধু শরীর নয়, মনকেও প্রশান্ত রাখে। তাই আজ থেকেই হাঁটার যাত্রা শুরু করুন—স্বাস্থ্য আর সতেজতা আপনার সঙ্গী হোক প্রতিদিন।