প্রথমবার বিমানে যাত্রা করতে গিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন— কী জিনিস হাতের ব্যাগে নেওয়া যাবে, আর কোনটি নেওয়া একেবারেই ঠিক নয়? কেবিন ব্যাগে কিছু জিনিস রাখা নিষিদ্ধ, যদিও সেগুলো চেক-ইন লাগেজে নেওয়া যায়। তাই আগে থেকেই জেনে নিন যেনো বিমানবন্দরে গিয়ে সমস্যায় না পড়েন।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখলে আপনার যাত্রা হবে ঝামেলামুক্ত:
খাবারদাবার: কী রাখা যাবে, কী নয় _
সাধারণত শুকনো খাবার বা হালকা নাস্তা নেওয়া যায়। তবে কিছু জিনিস একেবারেই নিষিদ্ধ। যেমন-
শুকনো নারকেল বা নারকেলের টুকরো
কর্পূর
মশলা জাতীয় পদার্থ
এই জিনিসগুলি কেবিন ব্যাগে থাকলে সমস্যা হতে পারে।
ওষুধ: সতর্কতা জরুরি _
তরল ওষুধ, বিশেষ করে যদি তা দাহ্য হয় বা খোলা থাকে, তাহলে তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকলে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে।
সাধারণ ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের ক্ষেত্রে তেমন বাধা নেই।
অক্সিজেন সিলিন্ডার নেওয়া গেলেও সেটির জন্য অনুমতি লাগবে।
ধারালো বা ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস _
নিরাপত্তার কারণে নিচের জিনিসগুলো হাতে রাখা যায় না-
দড়ি
ব্লেড
সেলোটেপ
নেলকাটার (যদি ছুরি যুক্ত থাকে)
ফিতে
কাঁচি
ছোট ছুরি
তবে নেলফাইল সাধারণত অনুমোদিত।
অ্যালকোহল: সীমাবদ্ধতা রয়েছে _
কেবিন ব্যাগে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ, তবে চেক-ইন ব্যাগে সর্বোচ্চ ৫ লিটার পর্যন্ত রাখা যায়। সেক্ষেত্রে, বোতলের মুখ সিল করা থাকতে হবে এবং বিল থাকা বাধ্যতামূলক।
ছাতা: সাইজের ওপর নির্ভর করে _
ফোল্ডিং ছাতা নেওয়া যায়।
লম্বা হাতলযুক্ত ছাতা কেবিন ব্যাগে নেওয়া যাবে না, চেক-ইনে রাখতে হবে।
খেলনা: বেছে নিতে হবে সাবধানে _
আসল প্রাণীর মতো দেখতে খেলনা যেমন সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি বা খেলনা বন্দুক নিষিদ্ধ। সাধারণ সফট টয়, পুতুল নেওয়া যায়।
প্লাস্টিক কঙ্কাল জাতীয় শিক্ষামূলক সামগ্রীও কেবিন ব্যাগে নিষিদ্ধ।
প্রসাধনী: সীমিত অনুমতি _
ছোট বোতলে শ্যাম্পু, ক্রিম নেওয়া যায়।
ট্যালকম পাউডার বা বড় বোতল নিষিদ্ধ।
শেষ কথা হলো, বিমান সংস্থাভেদে কিছু নিয়মের পার্থক্য থাকলেও, এই সাধারণ নির্দেশনাগুলো প্রায় সব জায়গায় প্রযোজ্য। যাত্রার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনের ওয়েবসাইট দেখে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।