প্রচণ্ড গরমে স্কুল থেকে ফিরেই অনেক শিশু ক্লান্ত, বিরক্ত ও অস্বস্তিতে ভোগে। এ সময় সঠিক যত্ন না নিলে তাদের শারীরিক অসুস্থতা যেমন ডিহাইড্রেশন, ঘামাচি বা হিটস্ট্রোক হতে পারে। তাই বাবা-মা ও অভিভাবকদের একটু সচেতন থাকলেই গরমের এই সময়টা শিশুদের জন্য স্বস্তিদায়ক করা সম্ভব।
পানীয় ও খাবার _
স্কুল থেকে ফিরেই শিশুকে ঠাণ্ডা (বরফ ছাড়া) পানি খেতে দিন। চাইলে লেবু পানি, ডাবের পানি, ফলের শরবত কিংবা ওআরএস দেওয়া যেতে পারে। এসব পানীয় শিশুর শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করবে। অতিরিক্ত তেলেভাজা বা ঝাল খাবার এড়িয়ে ফলমূল ও হালকা খাবার খাওয়ানো ভালো।
পোশাক ও ঠাণ্ডা রাখা _
শিশুকে স্কুল থেকে ফেরার পরপরই হালকা সুতি জামায় পরিবর্তন করে দিন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল করিয়ে দিন, এতে শরীর ঠাণ্ডা হবে ও ঘামাচির সমস্যাও কমবে।
বিশ্রাম _
গরমে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই স্কুল থেকে ফেরার পর শিশুকে কিছু সময় বিশ্রাম নিতে দিন। জোর করে পড়ার টেবিলে বসানোর পরিবর্তে আরামদায়ক পরিবেশ দিন।
রোদ এড়িয়ে চলা _
দুপুরের প্রচণ্ড রোদে শিশুদের বাইরে খেলতে না পাঠানোই ভালো। বিকেলের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমলে বাইরে যাওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ _
শিশু যদি অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে, মাথা ঘোরে, শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় বা বমি বমি ভাব করে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অভিভাবকের করণীয় _
স্কুল ব্যাগে পানির বোতল ও সান হ্যাট রাখতে হবে।
শিশুদের গায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিদিনের রুটিনে পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
গরমে শিশুর যত্ন মানে শুধু শারীরিক আরাম নয়, তাদের মানসিক স্বস্তির দিকেও খেয়াল রাখা। একটু যত্নশীল হলেই শিশুরা গরমের সময়টাও আনন্দে কাটাতে পারবে।