সম্পর্কে ভালোবাসা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি একে অপরকে বোঝা। তবে স্বভাবের কিছু দিক এমন আছে, যেগুলো পুরুষরা একেবারেই মানতে পারেন না। বিষয়টা অবশ্য শুধু পুরুষ নয়— আসলে কারও মধ্যেই থাকলে আশেপাশের সবারই বিরক্তির কারণ হয়। তবুও মজার ছলে জেনে নিন, কোন কোন স্বভাব নারীদের পুরুষদের কাছে অপছন্দনীয় হয়ে ওঠে
অতিরিক্ত কথা বলার স্বভাব
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলা অনেকেরই অভ্যাস। একবার শুরু হলে যেন থামতেই চান না। বন্ধুরা যখন সিরিয়াস কথা বলছে, তখনও যদি বকবকানি থামাতে না পারেন, তবে বিরক্তি বাড়বেই। পুরুষরা তাই চুপচাপ, সময় বুঝে কথা বলা নারীদেরই বেশি পছন্দ করেন।
অহংকারী স্বভাব
নিজেকে পৃথিবীর সেরা ভাবা বা অহংকারে চোখ উল্টে থাকা – এসব কারও কাছেই ভালো লাগে না। অহংকারী নারীরা অনেক সময় অজান্তেই এমন কিছু বলে ফেলেন, যা অন্যের মন ভেঙে দেয়। পুরুষরা সাধারণত সহজ-সরল ও বিনয়ী নারীদের কাছে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
পরচর্চা বা নিন্দা করা
অন্যের দোষ খুঁজে বের করা কিংবা পেছনে খারাপ কথা বলা—এই স্বভাব পুরুষদের বিরক্তির তালিকার একেবারে শুরুতে থাকে। কারণ, যে নারী সবসময় পরচর্চায় ব্যস্ত, তার সঙ্গে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়া কঠিন হয়ে যায়।
মিথ্যা বলার অভ্যাস
ছোট-বড় যেকোনো কারণে মিথ্যা বলা সম্পর্কের জন্য ভয়ংকর। একবার ধরা পড়লে বিশ্বাস ভেঙে যায়, আর সেটা ফেরত আনা প্রায় অসম্ভব। তাই পুরুষরা মিথ্যাবাদী নারীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করেন।
পাত্তা না দেওয়ার স্বভাব
কেউ কাউকে পাত্তা না দেওয়া, নিজেকে বড় ভাবা আর অন্যকে ছোট করে দেখা—এসব আচরণ কেউই পছন্দ করেন না। সম্পর্ক মানে একে অপরকে গুরুত্ব দেওয়া। অথচ এই অভ্যাস অনেকেরই আছে, যা পুরুষদের কাছে একেবারেই অপছন্দনীয়।
আসলে, এসব শুধু পুরুষ নয়—যে কারও ভেতরে থাকলে আশেপাশের মানুষ দূরে সরে যায়। তাই সম্পর্ক মজবুত রাখতে চাইলে অহংকার নয়, দরকার বিনয়; মিথ্যা নয়, দরকার সত্যি; আর সবচেয়ে বেশি দরকার—অন্যকে গুরুত্ব দেওয়ার মানসিকতা।