ত্বকের সুস্থতা আমাদের সৌন্দর্যের প্রথম পরিচয়। কিন্তু আর্দ্রতা কমে গেলে ত্বক ঝলমল ভাব হারাতে শুরু করে। শুষ্ক ত্বক শুধু খসখসে বা অস্বস্তিকরই নয়, বরং বয়সের ছাপও দ্রুত প্রকাশ পেতে শুরু করে। তাই সময়মতো লক্ষণ বুঝে নিলে সমস্যা বড় হওয়ার আগেই প্রতিকার করা সম্ভব।
ত্বক খসখসে ও শক্ত অনুভূত হয়
যদি প্রতিদিন যত্নের পরও ত্বক স্থির না থাকে, স্পর্শে খসখসে বা শক্ত লাগে, তবে এটি আর্দ্রতার সংকেত। আর্দ্রতা কমে গেলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও কমে যায়, ফলে ত্বক নরম থাকে না।
ছোট ছোট শুষ্ক দাগ দেখা দেয়
হাত, গাল বা কপাল—যেখানে ত্বক নরম হওয়া উচিত সেখানে যদি ছোট ছোট ফাটল বা শুষ্ক দাগ দেখা দেয়, তা মানে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গেছে। বিশেষ করে শীতকালে এটি আরও স্পষ্ট হয়।
ত্বক টানটান অনুভূত হয়
স্নানের পর বা ধোয়ার পর ত্বক যদি অতিরিক্ত টানটান হয়, তা শুষ্ক হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। এমন সময় ত্বকে লুব্রিকেশন বা ময়শ্চারাইজার প্রয়োগ না করলে খসখসে ভাব আরও বেড়ে যায়।
ত্বকের জেল্লা কমে যায়
নরম, সতেজ ও উজ্জ্বল ত্বক আর্দ্রতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। আর্দ্রতা কমলে ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা কমে যায় এবং মুখের রঙ ফ্যাকাশে দেখায়।
ফাইন লাইন বা বলিরেখা বেশি দেখা দেয়
শুধু বয়সের কারণে নয়, শুষ্ক ত্বকেও ফাইন লাইন বা বলিরেখা দ্রুত দেখা দিতে পারে। আর্দ্রতা কমে গেলে ত্বক নমনীয়তা হারায় এবং বলিরেখা সহজে তৈরি হয়।
ত্বক চুলকানো বা লাল হয়ে ওঠে
ত্বক আর্দ্র থাকলে ঝলমলে এবং শান্ত থাকে। কিন্তু শুষ্ক হলে তা চুলকাতে পারে, কখনো লালচে ভাবও দেখা দেয়। এটি অনেক সময় সংবেদনশীল ত্বকের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
মেকআপ সহজে বসে না
যদি ফাউন্ডেশন বা ব্লাশ ঠিকভাবে বসে না বা ছোট ছোট দাগে ভাগ হয়ে যায়, তা ত্বকের শুষ্কতার লক্ষণ হতে পারে। আর্দ্র ত্বক মেকআপকে মসৃণভাবে ধরে রাখে, শুষ্ক ত্বক তা করতে পারে না।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করার সহজ কিছু টিপস _
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
গরম পানি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ মুখ ধোয়া এড়িয়ে চলুন।
প্রাকৃতিক তেল, যেমন কোকোনাট বা সরিষার তেল প্রয়োগ করতে পারেন।
শুষ্ক পরিবেশে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
ত্বকের আর্দ্রতা কমার প্রাথমিক লক্ষণগুলো বুঝতে পারলেই সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আগেই প্রতিকার নেওয়া সম্ভব। নিয়মিত যত্ন, পর্যাপ্ত পানি, প্রাকৃতিক তেল ও হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ, নরম এবং ঝলমলে থাকে। ত্বকের এই যত্ন শুধু সৌন্দর্যই নয়, স্বাস্থ্যকেও ধরে রাখে।