ব্যস্ততা, চাপ আর যান্ত্রিক জীবনের ভিড়ে অনেক সময় অনুভূতির প্রকাশ হয়ে ওঠে সীমিত। অথচ খুব সাধারণ একটি কাজ—প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরা—আমাদের শরীর ও মনে এনে দিতে পারে অসাধারণ স্বস্তি। ভালোবাসার এই নীরব ভাষার রয়েছে বৈজ্ঞানিক ও মানসিক নানা উপকারিতা।
স্ট্রেস কমায় এক আলিঙ্গনে
জড়িয়ে ধরার সময় শরীরে কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এতে মন শান্ত হয়, উদ্বেগ ও টেনশন ধীরে ধীরে হালকা হয়ে আসে। কঠিন দিনের শেষে একটি আলিঙ্গন যেন মুহূর্তেই ক্লান্তি ঝরিয়ে দেয়।
সুখের হরমোন বাড়ায়
আলিঙ্গনের সময় শরীরে নিঃসৃত হয় অক্সিটোসিন—যাকে বলা হয় ‘ভালোবাসার হরমোন’। এটি আনন্দের অনুভূতি বাড়ায়, সম্পর্কের বন্ধনকে করে আরও গভীর ও উষ্ণ।
হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আলিঙ্গন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।
একাকিত্ব দূর করে
জড়িয়ে ধরা মানেই ‘আমি আছি তোমার পাশে’—এই বার্তাটি নিঃশব্দে পৌঁছে দেওয়া। এতে একাকিত্ব ও বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি কমে, বিশেষ করে মানসিকভাবে দুর্বল সময়ে।
ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে
অক্সিটোসিন ও সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়ায় বলে আলিঙ্গন ঘুমের মান উন্নত করে। প্রিয়জনের আলিঙ্গনে ঘুম আসে দ্রুত, ঘুম হয় গভীর ও প্রশান্ত।
আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
শারীরিক স্পর্শ মানুষের নিরাপত্তা ও গ্রহণযোগ্যতার অনুভূতি জাগায়। এতে নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ে, মানসিক শক্তি পায় নতুন মাত্রা।
সম্পর্ককে করে আরও দৃঢ়
কথা ছাড়াও অনুভূতি প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম হলো আলিঙ্গন। এটি ভুল বোঝাবুঝি কমায়, সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস ও আন্তরিকতা বাড়ায়।
ছোট্ট আলিঙ্গন, বড় উপকার
প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরতে লাগে না সময়, লাগে না কোনো আয়োজন। তবু এর প্রভাব পড়ে শরীর, মন আর সম্পর্কে। তাই আজই—একটি আলিঙ্গন দিয়ে দিন ভালোবাসা, নিজের জন্যও, প্রিয়জনের জন্যও।
তাই শরীর, স্বাস্থ্য মন ও সম্পর্ক সুস্থ থাকুক একটুখানি আলিঙ্গনে।