ঘর যখন শুভ্রতায় মোড়া একটি ক্যানভাস
৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:০৬
রাজনীন ফারজানা ||
সাহানা কাকলি ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকেন। তার কাছে ঘর হচ্ছে একটা বিশাল ক্যানভাস যা মনের মাধুরী মিশিয়ে রাঙানো যায়, সাজানো যায়, যায় গোছানো। আর এই ক্যানভাস রাঙানোর জন্য তার প্রিয় রঙ হচ্ছে সাদা। কারণ সাদা রঙের ব্যবহার ঘরে এনে দেয় পবিত্র কোমলতা আর পরিচ্ছনতার অনুভূতি।
ঘর সাজানো হচ্ছে তার প্রিয় শখ কিংবা বলা ভাল তার নেশা। নিজের ঘর তাই নিজেই সাজান এমনকি রঙ করতেও নিজেই হাত লাগান।
ঘরের দেওয়াল সাদায় রাঙিয়েছেন তিনি যা একইসাথে এনে দিয়েছে আভিজাত্য আর মার্জিত ভাব। তবে কিছু ঘরের দেওয়ালে সাদার সাথে মিলিয়ে প্যাস্টেল শেডের বা হালকা রঙের ব্যবহারও করেছেন।
আবার চারদিকে হালকা রঙের একঘেয়েমী ভাব দূর করতে ছেলের ঘরের এক পাশের দেওয়াল রাঙিয়েছেন কমলা রঙে। আর মোটামুটি সব ঘরের দেওয়ালেই ঝুলিয়েছেন প্রচুর পারিবারিক ছবি যা তার বাড়িটিতে এনেছে আন্তরিকতার ছোঁয়া।
ঘরের মাঝে শুভ্র আর শান্ত ভাব বজায় রাখতে দেওয়ালের সাথে মিলিয়ে ঘরের আসবাবগুলোকেও তিনি বেছে নিয়েছেন সাদা, কালো কিংবা কাঠের রঙে। শোবার ঘরের খাটটি যদিও কালো কিন্তু সেখানে বিছানো চাদর হালকা রঙের আর বেডকাভার বা বালিশের কাভার দেওয়ালের সাথে মিলিয়ে বিছিয়েছেন সাদা রঙের।
আবার সন্তানের ঘরের ছোট্ট বিছানায় চেয়ারের সাথে মিলিয়ে রেখেছেন হালকা নীল রঙের বেডকাভার। দেওয়ালের নিচের দিকে বাচ্চাদের উপযোগী ওয়ালপেপার আর তাঁর সাথে মেলানো বিছানার চাদর, সব মিলিয়ে ঘর সাজানোতে কাকলির যত্নের ছোঁয়া চারদিকেই।
আমাদের বাসাগুলোর প্রধান আকর্ষণই থাকে বসার ঘর। কাকলির বসার ঘরের সাদা দেওয়াল আর সাদা সোফা যাতে চোখে ক্লান্তি এনে না দেয় তাই সেখানে রেখেছেন উজ্জ্বল রঙের কুশন আর রানার।
ছোট ছোট টুলগুলোতেও দিয়েছেন রঙের ছোঁয়া। খাবার ঘরেও সাদার আধিপত্য বেশি হলেও টেবিলের উপরে রাখা ছোট্ট ফুলের টব, মগ কিংবা ফটোগ্রাফ সব মিলিয়ে এখানে সেখানে টুকটাক রঙের ছোঁয়া আপনার মোটেই একঘেয়ে লাগবেনা।
সাধারণত আমরা ঘরে শিল্পবস্তু রাখি ঘর সাজানোর উপাদান হিসেবে। কিন্তু সাহানা কাকলি নিজে চিত্রশিল্পী বলেই বোধহয় তার বাসাটিই একটি শিল্পকর্ম। মিনিমালিস্ট প্যাটার্নে সাজানো বাসায় চারদিকে সাদার মাঝে চাতুর্যের সাথে অন্যান্য রঙের ব্যবহার তার বাসাটিকে দিয়েছে অন্যন্য মাত্রা ও সৌন্দর্য।
আপনিও যদি চান নিজের বাসাটিকে সাদায় রাঙাতে তাহলে এই কাকলির বাসাই হতে পারে আপনার জন্য চমৎকার উদাহরণ।
ছবি- সাহানা কাকলি
সারাবাংলা/ আরএফ/ এসএস