গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে ইফতারিতে কী করবেন
১০ মে ২০১৯ ১৩:৪২
বছর ঘুরে আবারও এলো রোজা। গরমের দিনে রোজা হওয়ায় আমাদের প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে। তাই রোজা ভেঙেই অনেকে হাপুসহুপুস করে একগাদা খাবার খেয়ে ফেলেন। এতে করে পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি যে ৯ ঘণ্টা হাতে থাকে, সে সময়ে পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। এতে রোজায় ওজন বেড়ে যাওয়াসহ আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয় তা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
সারাবাংলার পাঠকদের জন্য নিয়মতি রোজায় সুস্থতার টিপস দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ আজমেরী রহমান সিন্থীয়া
আশা করছি সবার রোজা ভালো কাটছে। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় গ্যাস্ট্রিক, সব বয়সী মানুষই যার ভুক্তভোগী। রোজা ভেঙেই ভাজাপোড়া খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। দীর্ঘসময় অভুক্ত থেকে ইফতারিতে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার জন্য তাই অনেকেই এসময়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ইফতারিতে কী কী নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকমুক্তভাবে রোজা পালন করা যাবে–
প্রথমেই জেনে নেই রোজায় গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী বর্জন করতে হবে
- অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।
- ইফতারের শুরুতেই লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
- ইফতারের পর পরই চা, কফি কিংবা কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না।
- কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাস তৈরি করে। তাই ইফতারির তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিন বা পরিমাণে খুব কম রাখুন।
- একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প করে পানি পান করুন।
- পায়খানা আটকে রাখবেন না।
এখন জেনে নেই ইফতারিতে করণীয় সম্পর্কে
- ইফতারের আয়োজনে তাজা ফল যেমন– বাঙ্গি, পেঁপে, আখ ইত্যাদির রস পান করা ভালো।
- তাজা ফলের রসের বিকল্প হতে পারে ইসবগুলের ভুষি অথবা তোকমার দানা মিশ্রিত শরবত।
- কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন যারা তাদের জন্য পাকা পেঁপে দারুণ উপকারী।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, তবে একটু একটু করে।
- হজমশক্তি ভালো রাখতে শসার সালাদ হতে পারে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য মহৌষধ।
- মাগরিবের আজানের পর দুই থেকে তিনটি খেজুর এবং পানি পান করে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এতে খাবারে কিছুক্ষণ বিরতি পড়বে। নামাজের পর অন্যান্য খাবার গ্রহণ করলে পেট ফাঁপা কিংবা অস্থির লাগা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- ইফতারির আয়োজনে একদিন নুডুলসের (কম তেলে রান্না) সঙ্গে সালাদ, কোনোদিন পায়েস (চিনি কম), কোনোদিন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে।
- মনে রাখবেন ইফতারিই সব নয়। গ্যাস্ট্রিকমুক্ত রোজা কাটাতে চাইলে সন্ধ্যা রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না কিছুতেই।
সারাবাংলা/আরএফ