রোজায় গ্যাস্ট্রিকমুক্ত থাকতে সেহেরীতে কী খাবেন

বছর ঘুরে আবারও এলো রোজা। গরমের দিনে রোজা হওয়ায় আমাদের প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে। তাই রোজা ভেঙেই অনেকে হাপুসহুপুস করে একগাদা খাবার খেয়ে ফেলেন। এতে করে পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই  বাকি যে ৯ ঘণ্টা হাতে থাকে, সে সময়ে পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। এতে রোজায় ওজন বেড়ে যাওয়াসহ আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয় তা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।

সারাবাংলার পাঠকদের জন্য নিয়মতি রোজায় সুস্থতার টিপস দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ আজমেরী রহমান সিন্থীয়া

রোজার সময়ে দেখা যায় অনেকেই ইফতারি আর রাতে ভরপেট খেয়ে সেহেরীতে তেমন কিছু খান না। এটা একদমই ঠিক নয়। রোজার সময় আপনার দিনের প্রধান খাবার হওয়া উচিৎ সেহেরী।

আবার দেখা যায় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে রোজার দিনে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায় অনেকের। আগের পর্বে আলোচনা ছিল রোজায় গ্যাস্ট্রিকমুক্ত থাকতে ইফতারিতে কী খাবেন আর কী খাবেন না তাই নিয়ে। আজ বলবো রোজায় গ্যাস্ট্রিকমুক্ত থাকতে সেহেরীতে কী খাবেন আর কী বর্জন করবেন তাই নিয়ে।

প্রথমেই মনে করিয়ে দেই সেহেরীতে যা যা বর্জন করবেন- 

• অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
• চা, কফি এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই নয়
• কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি পেটে গ্যাসের কারণ হতে পারে তাই এসব খাবার বাদ দিন বা পরিমাণে খুব কম খান
• সব ধরণের কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন
• লবণ শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায় তাই লবণ কম খেতে হবে

রাতের খাবার- 

আগের পর্বে বলা হয়েছিলো ইফতারিতে করণীয় কি। রাতে খুব বেশি খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে একদমই বাদ দেওয়া যাবে না। রাতে ভারী খাবার না খেয়ে একটা শশা বা আপেল খাওয়া যায়। দিনের প্রধান খাবার হিসেবে সেহেরী খান।

সেহেরীতে করনীয়- 

• দেড় কাপ পরিমাণ ভাত
• ডিম সিদ্ধ একটি
• মাছ/মাংস ১ টুকরা
• শাকসবজি ১ কাপ। সবজিতে কাচা পেঁপে রাখতে হবে
• ভরা পেটে কুসুম গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন
• সেহেরীর মূল খাবার খাইওয়া আগে ১টি শসা/আপেল খাওয়া যেতে পারে
• ১-২ টি খেজুর/একটি কলা
• আধা কাপ পাতলা দুধ

সবশেষে বলবো, লবণ কম খাবেন। এতে গরমের দীর্ঘ রোজায় পানির পিপাসা কম পাবে।

 

সারাবাংলা/আরএফ

ইফতারি গ্যাস্ট্রিক রমজানের খাবারদাবার রমজানের রেসিপি রোজায় সুস্থতা সেহেরী