রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকা
২৯ মে ২০১৯ ১৪:৫৫
বছর ঘুরে আবারো এলো রোজা। গরমের দিনে রোজা হওয়ায় আমাদের প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হবে। তাই রোজা ভেঙেই অনেকে হাপুসহুপুস করে একগাদা খাবার খেয়ে ফেলেন। এতে করে পেটে গ্যাস, বদহজম ও নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। রোজায় সুস্থ থাকতে তাই বাকি যে ৯ ঘণ্টা হাতে থাকে, সে সময়ে পরিকল্পিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। এতে রোজায় ওজন বেড়ে যাওয়াসহ আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয় তা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
সারাবাংলার পাঠকদের জন্য নিয়মিত রোজায় সুস্থতার টিপস দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ আজমেরী রহমান সিন্থীয়া।
রোজায় ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোজাদারদের কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে তা হলো- রক্তে চিনির মাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসিমিয়া), চিনির মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), পানি শূন্যতা এবং ডায়াবেটিক কিটো-এসিডোসিস।
এ ছাড়া, অনেকে এই মাসে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পরে অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করেন। ব্যায়াম বা হাঁটাচলা প্রায় করেনই না বলতে গেলে। ফলে রক্তের চর্বির পরিমাণ ও ওজন বেড়ে যায়। এতে ডায়াবেটিস অনেক সময়ই নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই রোজা রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে খাবারাদাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আজ দেখে নেই রোজায় রাতে ও সেহেরীতে কী খাবেন তা।
রাতের খাবার
ইফতারের পর সন্ধ্যা রাতে ভাত না খেয়ে বরং রুটি, ফলমূল, ওটস, দুধ, দই-চিড়া খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
- রুটি ১ পিস,
- মিক্সড সবজি ১ বাটি। সবজিতে মিষ্টি কুমড়ো, আলু, গাজর, কচুর মুখি ইত্যাদি বাদ দিন।
- ঘুমানোর আগে ১ টি ফল খেতে পারেন। ফলের ক্ষেত্রে আম,কাঠাল, লিচু ইত্যাদি মিষ্টি ফল পরিমিত হারে খান।
সেহেরীর খাবার
- ভাত ১ কাপ
- সবজি ১ কাপ (চাল কুমড়ো, ঝিঙে, পটল, লাউ, করলা ইত্যাদি থাকলে ভালো)
- ১ টুকরো মাছ বা মাংস
- ডাল ১ কাপ
- শসা ১ টা
- ডিম সেদ্ধ ১ টা
- মাঝে মাঝে রুচি পরিবর্তনে ননী তোলা ১ গ্লাস দুধের সাথে ৪ টেবিল চামচ ওটস বা ছাতু মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন হয়ে আসলে কাস্টার্ডে ব্যবহূত ফল ছোট ছোট করে কেটে মিশিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে খেতে পারেন।
এটি ডায়াবেটিসের একটি সাধারন পুষ্টি সম্পন্ন খাদ্য তালিকা। যাদের ডায়াবেটিস জটিল বা যারা ব্যাপকতায় ভুগছেন তারা পুষ্টিবিদের কাছে দেখিয়ে খাদ্যতালিকা করে নেবেন। এমনকি রোজা ফলে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সুস্থ ও সুন্দরভাবে রোজা পালন করুন।
সারাবাংলা/আরএফ/