Tuesday 03 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আম-কাঁঠালের মজার রেসিপি


২১ জুন ২০১৯ ১৪:৩২ | আপডেট: ২১ জুন ২০১৯ ১৫:১৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলছে গরমের রসালো ফলের মৌসুম। ঘরে ঘরে আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, আনারস, লটকনের সমাহার। বিশেষত, জ্যৈষ্ঠ শেষে আষাঢ়ে পা দেওয়ার এই সময়ে চারদিকে আম আর কাঁঠাল খাওয়ার ধুম। শুধু শুধু তো খাওয়া হচ্ছেই, আম আর কাঁঠাল দিয়ে বানানো যায় নানারকম মুখরোচক খাবারও। আসুন দেখে নেই আম আর কাঁঠালের ভিন্নরকম দুটো রেসিপি। রেসিপি দিয়েছেন সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর সিরাজুম মুনিরা নীরা।

 

আম-সাবুর ঠাণ্ডাই

উপকরণ 

  1. মোটামুটি পাকা মিষ্টি আম দুইটি, চারকোনা টুকরো করে নেওয়া
  2. বেশ পাকা নরম আম দুইটি, টুকরো করে নেওয়া
  3. সাবুদানা এক কাপ (সেদ্ধ করার জন্য ছয় কাপ পানি)
  4. ঠাণ্ডা ঘন দুধ দুই কাপ
  5. কনডেন্সড মিল্ক এক টিন
  6. ডানো ক্রিম এক টিন
  7. ম্যাংগো ফ্লেভারড জেলি পাউডার (প্যাকেটের নিয়মমতো তৈরি করে চারকোনা করে কেটে নিতে হবে)

 

বিজ্ঞাপন

আম-সাবুর ঠাণ্ডাই

 

পদ্ধতি

প্রথমে এক কাপ সাবুদানা ছয় কাপ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি রান্না হয়ে গলে না যায়। সেদ্ধ হলেই সঙ্গে সঙ্গে পানি ঝরিয়ে প্রচুর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সাবু ধুয়ে ঝাঁঝরিতে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

এবার একটা বড় বাটিতে দুই কাপ ঘন দুধ, ক্রিম, কনডেন্সড মিল্ক ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এর মদ্যে আমের টুকরোগুলো দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। যেন আমের ফ্লেভারটা দুধের সঙ্গে মিশে যায়। সবশেষে সাবু আর জেলির টুকরো মেশাতে হবে। কিছু জেলি ওপরে দেওয়ার জন্য আলাদা করে রাখবেন।

সবকিছু ভালোভাবে মিশে গেলে গ্লাসে ঢেলে ওপরে জেলি সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

এই ডেজার্টটা খুব পাতলা হবে না, আবার একেবারে কাস্টার্ডের মতো ঘনও হবে না। নরমাল ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করতে হবে।

 

জাউ-কাঁঠাল

উপকরণ

  1.  পোলাওয়ের চাল ১/২ কেজি
  2. লবন স্বাদমতো
  3. কোরানো নারকেল এক কাপ
  4. এলাচ দুটি
  5. পাকা কাঁঠাল ইচ্ছা মতো

 

আম-সাবুর ঠাণ্ডাই

 

পদ্ধতি

আধা কেজি পোলাওয়ের চাল ধুয়ে লবণ, এলাচ দিয়ে বেশি করে পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। ফুটে উঠলে জ্বাল কমিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। জাউ এমনভাবে রাঁধতে হয় যেন চালও সেদ্ধ হবে আবার একেবারে পানি পানিও থাকবে না। অনেকটা পায়েসের মতো দেখতে হবে।

পানি ফুটে ওঠার পর কোরানো নারকেল দিয়ে দিতে হবে। নারকেল থেকে যে মিষ্টিটা বের হবে সেটাই এটিকে হালকা মিষ্টি করবে। কাঁঠাল দিয়ে খাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট।

জাউ রান্না হলে কিছুটা ঠান্ডা করে পাকা কাঁঠাল বিচি ছাড়িয়ে ওপরে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

খুলনা-যশোর অঞ্চলের অনেক বাড়িতেই কাঁঠালের এই মৌসুমে সকালের নাস্তা হিসেবে এই জাউ-কাঁঠাল খাওয়া হয়।

 

সারাবাংলা/এসএমএন/আরএফ

আম কাঠাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর