যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে যেসব খাবারে
২৩ জুলাই ২০১৯ ০৯:৪০
শারীরিক সুস্থতার অনেকটাই যকৃতের সুস্থতার সাথে সংযুক্ত। আমাদের অনিয়মিত ও অপরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস যকৃতে চিনি, অ্যালকোহল, চর্বি ইত্যাদির চাপ বাড়ায়। তখন খাবার হজম করা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ে এবং নানারকম রোগব্যাধি দেখা দেয়। তাই, যকৃত সুস্থ রাখতে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি।
আসুন দেখে নেই কোন ৬ টি খাবারে ভালো থাকবে যকৃতের স্বাস্থ্য।
১ চা ও কফি
যকৃতের নানা রোগের জন্য কফি দারুণ উপকারি। নানা ধরণের সিরোসিস, ক্যানসার, প্রদাহ ইত্যাদি থেকে যকৃতকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে কফি। গবেষকদের মতে, যকৃতে চর্বি জমলেই যত রোগের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কফি যকৃতে চর্বিযুক্ত কোষ জমতে দেয় না। দেখা গেছে যারা দিনে অন্তত তিন কাপ কফি পান করে, তাদের যকৃত ভালো থাকে।
কফির মতো সবুজ ও কালো চাও যকৃতের সুস্থতার জন্য দারুণ উপকারি। তবে অতিরিক্ত চা পানও উল্টো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করুন দিনে কয় কাপ চা পান আপনার জন্য উপকারি।
২ বাতাবি লেবু
এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা যকৃতের জন্য উপকারি। বাতাবি লেবুতে নারিনজেনিন ও নারিনজিন নামক দুই ধরণের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা যকৃতের কোষগুলোকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। আবার যকৃতে অতিরিক্ত চর্বিও জমতে দেয় না এই রাসায়নিকগুলো।
৩ ব্লুবেরি ও ক্র্যানবেরি
এই দুই ফলেও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্থোসিয়ানিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা তিন থেকে চার সপ্তাহ ব্লুবেরি ও ক্র্যানবেরি খেলে তা যকৃতের ক্ষত, ক্ষতের দাগ এবং যকৃতের টিস্যুর নানা রকম রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। ব্লুবেরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ঠেকাতেও ভূমিকা রাখে বলে নানা গবেষণায় দেখা গেছে।
৪ আঙুর
নানারকম আঙুর, বিশেষত লাল আঙুরে রেসভেরাটল নামক উপাদান থাকে যা ফ্রি রেডিক্যালের দ্বারা যকৃতে যে ক্ষতি হয় তা ঠেকাতে ভূমিকা রাখে। ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমানো ও প্রদাহ দূর করতেও আঙুর বেশ উপকারি।
৫ প্রিকলি পিয়ার
খাওয়া যায় এমন ক্যাকটাস খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে যারা নিয়মিত অ্যালকোহল পান করে তাদের জন্য এই ক্যাকটাসের রস বেশ উপকারি। বমিভাব, মুখের শুকনো ভাব ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে প্রিকলি পিয়ারের রস।
৬ বিটরুটের রস
বিটরুটে বেটালেইনস নামক একধরণের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যকৃতের ক্ষত দূর করে, প্রদাহ কমায় ও যকৃত পরিষ্কারের ডিটক্সিফায়িং এনজাইমের নিঃসরণ বাড়ায়। কাঁচা বিটের রস খেতে অসুবিধা বোধ করলে বিট টুকরো করেও খেতে পারেন। আবার অন্য ফলের স্মুদির সাথে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
আসুন নিয়মিত সাস্থসম্মত প্রাকৃতিক খাবার খাই ও যকৃতকে ভালো রাখি।
সারাবাংলা/আরএফ/