মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধে কী করবেন?
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:০৯
মাইগ্রেন হলো বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। হঠাৎ করেই এই ব্যথা শুরু হয়। পুরো মাথায় কিংবা বিশেষ অংশে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি ভাব অথবা বমিও হতে পারে। চিকিৎসকের অধীনে নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করতে হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরে পুষ্টি চাহিদা মেটায় এবং মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারণ মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হলো শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি। আসুন জেনে নেই সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-
অ্যাভোকাডো
পৃথিবীর পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে অ্যাভোকাডো একটি। কেননা এতে রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। আমেরিকার ফল হলেও এর চাষ এখন দেশেও হচ্ছে। অ্যাভোকাডো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। মাথাব্যথার তীব্রতা কমাতে এই ফলের জুড়ি নেই। মাইগ্রেনের ব্যথা প্রতিরোধে নিয়মিত অ্যাভোকাডো খাওয়া ভালো।
ডুমুর
মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ডুমুর বেশ কার্যকর। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাই এটি মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
স্যামন মাছ
সামুদ্রিক এই মাছে আছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন বি২। এই উপাদানগুলো রক্তের প্লেটলেট বাড়াতে সহায়তা করে। ঘন ঘন মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার প্রবণতা থেকে অনেকটাই মুক্তি দেয়।
আলু
আলুতে শর্করা আছে বলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই আলু খাওয়া বাদ দেন। তবে গবেষকরা বলছেন, আলুতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ ও পটাশিয়াম। ফলে মাথাব্যথা শুরু হলে আলু দিয়ে তৈরি খাবার খেলে উপকার হয়। তবে আলু কতটুকু খাবেন তা আপনার চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।
লেবু
ভিটামিন সি এর উৎকৃষ্ট উৎস হলো লেবুর রস। মাথাব্যথা হলে একগ্লাস পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যাবে।
তরমুজ ও গাজর
মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হলো পানিশূন্যতা। শরীরে আর্দ্রতা বজায় না থাকলে মাথাব্যথা হয়। তরমুজ ও গাজর এক্ষেত্রে খুবই উপকারি। এই দুটি খাদ্য উপাদান শরীরকে আর্দ্র রাখে। ফলে মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
বাধাকপি
ওমেগা থ্রি ও ফাইবারে ভরপুর হলো বাধাকপি। এই দুটি উপাদান মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
দই
গবেষণায় দেখা গেছে, রিবোফ্লাবিন মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লাবিন আছে। তাই নিয়মিত দই খেলে উপকার নিজেই বুঝতে পারবেন।
দারুচিনি
দারুচিনি গুঁড়া করে সামান্য পানি মিশিয়ে পেষ্ট বানিয়ে নিন। কপালে এই পেষ্ট লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মাথাব্যথা কমে যাবে।
মাথাব্যথা মানেই মাইগ্রেন না। আপনার মাথাব্যথা মাইগ্রেনের জন্য হচ্ছে কি না, সেই ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অন্তত আট ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করা, মানসিক চাপ কমানো ও দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার প্রবণতা বাদ দেওয়া ও সুশৃংঙ্খল জীবনযাপনের মাধ্যমে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।