শাপলার স্বর্গরাজ্যে একদিন
১৬ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৩০
অক্টোবর মাসের ৭ তারিখ ভোর ছয়টা, আমরা দলবল নিয়ে তাহিরপুর ব্রিজ থেকে মোটরসাইকেলে রওনা হয়েছি। গন্তব্য- লাল শাপলা বিকি বিল। স্থানীয়রা একে ‘বেকি বিল’ নামে ডাকেন।
সকালের মায়াময় নরম হাওয়ায় আমরা এগিয়ে চলেছি। বামপাশে মাটিয়ান হাওর। এই হাওর পশ্চিমে গিয়ে মিলেছে টাঙ্গুয়া হাওরের সঙ্গে। যেতে যেতে একসময় পেয়ে যাই পাথার গাও গ্রাম।
প্রায় এক হাজার একর জুড়ে শুধু শাপলা আর শাপলা। ইঞ্জিন নৌকায় একটি খাল পাড়ি দিই। খালের পানি নীলে মাখামাখি। তারপর বাধাঘাট বাজার। এই বাজারটি বেশ বড়। আমরা নাস্তা সেরে নিই বাজারের এক রেস্তোরাঁয়। এবার এগুতে থাকি বিকি বিলের দিকে।
আগে থেকেই আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন– স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। বিলের কাছেই তার বাড়ি। তার জন্যেই আমাদের বিল ভ্রমণ খুব সহজ হয়। বিলে পৌছে নিজেরাই দুটি নৌকা নিয়ে নেমে পড়ি।
প্রায় এক হাজার একর জুড়ে শুধু শাপলা আর শাপলা। দক্ষিণে দাঁড়িয়ে আছে আকাশ ছুঁই ছুঁই মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়। খুলনার তেরো খাদা, বরিশালের শাতলা এবং সিলেটের ডিবির হাওরের চেয়ে এখানে শাপলা অনেক বেশি।
শুরুতেই একদল হাঁসের সঙ্গে মোলাকাত হয়ে যায়। হাওরের হাঁস দেখতে দারুণ লাগে। হাওরে নানান জাতের তাজা মাছ দেখা যায়। দেখি আর ছবি তুলি -শুধু শাপলা আর শাপলা।
যেভাবে যাবেন
দেশের যে কোন যায়গা থেকে সুনামগঞ্জে আসুন। এখান থেকে মোটরসাইকেল নিন বাদাঘাট হয়ে বিকি বিল। ভাড়া ২০০ টাকা। আর তাহিরপুর থেকে একশো টাকা।
প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাই বিকি বিলে বেড়াতে গেলেও দুটি বিষয় মনে রাখা ভালো-
• যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিন ফেলবেন না।
• ভুল করেও শাপলা ছিড়বেন না।
লেখক- সাংবাদিক ও ভ্রমণ লেখক।