হবু মায়ের ঘুম
২০ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৪৩
হরমোন পরিবর্তনের কারণে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। ফলে অনেক মা গর্ভাবস্থায় ভালো ঘুমাতে পারেন না। কখনও কখনও শরীরে প্রচন্ড ক্লান্তি থাকলেও বিছানায় গেলে ঘুম আসে না। ফলে শারীরিক সমস্যা আরো বাড়ে।
অন্যসময়ে মানুষ যতটা স্বচ্ছন্দ্যে ঘুমাতে পারে, গর্ভাবস্থায় তা সম্ভব না। শোবার বিশেষ পদ্ধতি মেনে এইসময় ঘুমাতে হয়। ফলে অনেকসময় মায়েরা বিছানায় শুয়েও স্বস্তি পান না। গর্ভাবস্থায় আরামদায়ক ঘুমের জন্য কয়েকটি বিষয় মনে রাখা ভালো। এতে মায়ের ঘুম ভালো হবে। মা ও সন্তান সুস্থ থাকবে।
ঘুমের সঠিক পদ্ধতি
গর্ভাবস্থায় কাত হয়ে বিশেষ করে বামপাশে ঘুমানো সবচেয়ে নিরাপদ। এতে গর্ভের সন্তানের দেহে রক্তচলাচল ও পুষ্টির যোগান স্বাভাবিকভাবে হয়।
তবে ঘুমের মধ্যে পাশ ফেরা নিয়ে চিন্তিত হওয়া যাবে না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মনে রাখা ভালো, ঘুমের মধ্যে শরীর সুবিধাজনক অবস্থান বেছে নেয়। কোন কারণে অস্বস্তি লাগলে আপনার ঘুম এমনিতেই ভেঙ্গে যাবে।
হাঁটুতে বালিশ ব্যবহার আরামদায়ক
হবু মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া দরকার। এজন্য মায়ের স্বস্তি ও আরামের ব্যাপারটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। ঘুমানোর সময় দুই হাঁটুর নীচে নরম বালিশ দিলে কিছুটা স্বস্তি তো মিলবেই, এছাড়া পা ও কোমড়ের পেশীর ওপর চাপ কম পড়বে। ঘুমের মধ্যে বেশি নড়াচড়া যেন না হয়, এজন্য পিঠের দিকেও নরম বালিশ ব্যবহার করা যেতে পারে। আরেকটি ব্যাপার মনে রাখা ভালো, মাথার বালিশও খুব আরামদায়ক ও নরম হতে হবে। উঁচু বালিশ ব্যবহার করা একেবারেই উচিত না।
স্বস্তি পেলেই ঘুমানো উচিত
হবু মাকে শুধু বিছানায় শুয়েই ঘুমাতে হবে তা নয়। যেখানে আরাম মিলবে সেখানেই একটু ঘুমিয়ে নেওয়া ভালো। দিনের বেলা বিশ্রামের জন্য বিছানায় শুতে ইচ্ছা না করলে আর্মচেয়ার বা আরামদায়ক সোফায় কিছুক্ষণের জন্য ঘুমানোর চেষ্টা করতে পারেন। তবে বাম কাতে থাকতে হবে।
চিৎ হয়ে ঘুমানো ঠিক না
চিৎ হয়ে ঘুমানো মা ও গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতিকর। এতে সন্তানের দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা কমে যায়। মায়ের জরায়ু সংকুচিত হয়ে যায়। এছাড়া মায়ের হৃদপিন্ডে রক্তচলাচলের মাত্রা কমে যেতে পারে। এতে হৃদপিন্ডের গতি বেড়ে যায়। তাই গর্ভবতী মাকে চিৎ না হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উপুর হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘুমানোর সময় ফোন, ট্যাব মাথার কাছে না রাখাই ভালো। তাতে মা ও সন্তানের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্ভবনা অনেকটা কমে যায়। গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুম না হলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।