কুকুরের রোগ-বালাই
১৩ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৩০
অনেকেরই পোষা কুকুর থাকে। যথেষ্ট যত্ন আত্তির পরও অনেকসময় অসুস্থ হয় প্রিয় কুকুর। রোগ-বালাই দেখা দেওয়া অনেকেরই মৃত্যু ঘটে। প্রিয় পোষা প্রাণীর মৃত্যু অসম্ভব বেদনার। কুকুরের কিছু সাধারণ রোগব্যধি সম্পর্কে জেনে রাখলে সহজেই পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব। আসুন জেনে নেই কুকুরের কিছু রোগ সম্পর্কে।
ক্যানসার
মানুষের মতো কুকুরদেরও ক্যানসার হতে পারে। ভেঙে না পড়ে আপনার প্রিয় পোষ্যের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে একজন ভেটেরিনারি অনকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ডায়াবেটিস
কুকুরের ডায়াবেটিস বেশ জটিল রোগ। কুকুরদের শরীরে ইনসুলিন হরমোনের অভাবে বা শারীরিকভাবে ইনসুলিনের প্রতি অপর্যাপ্ত সাড়া না পেলে তারা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। খাদ্যগ্রহনের পর কুকুরের হজম প্রক্রিয়া খাবারগুলোকে ভেঙে নানা উপাদানে পরিণত করে। এদের মধ্যে একটি হল গ্লুকোজ যা ইনসুলিনের মাধ্যমে কুকুরের শরীরের কোষে কোষে পৌঁছায়। ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয় অগ্ন্যাশয় থেকে। যখন কোন কুকুরের শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না, তখন তাদের শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে করে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে যা ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে জটিলতা তৈরি করে।
হার্টওয়ার্ম
এই রোগে আক্রান্ত কুকুরের হৃৎপিণ্ডে ও ফুসফুসের ধমনীতে হার্টওয়ার্ম নামের পরজীবী কীট বাসা বাঁধে। এভাবে সারা শরীরে রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই কীট। কোন কোন কুকুর এভাবে শরীরে অন্তত কয়েকশ পরজীবী কীট নিয়ে পাঁচ থেকে সাত বছর বেঁচে থাকে। তবে ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা দরকার।
কেনেল কাফ
এটা একধরনের ব্রঙ্কাইটিস জাতীয় রোগ। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই রোগ হতে পারে। মূলত কুকুরের গলা, ও স্বরনালীতে সমস্যা দেখা দেয় এই রোগে।
পার্ভো ভাইরাস
ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস একটি ভয়ানক বিষাক্ত ভাইরাসবাহিত রোগ যা অনেক কুকুরের মৃত্যুর ব্জন্য দায়ী।
র্যাবিস
এটিও ভাইরাসবাহিত রোগ। কুকুর ছাড়াও স্তন্যপায়ী প্রাণী এমনকি মানুষেরও হতে পারে এই রোগ। এতে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রিংওয়ার্ম
এটা কোন রকম কীটের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় না। ফাংগাল এই রোগে কুকুরের ত্বক, পশম ও নখ আক্রান্ত হয়। এটিও একটি সংক্রামক রোগ যা অন্য পশু এমনকি মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে। এতে করে কুকুরের পশম ঝরে পড়ে। তাই দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে।
ছবি- টোটো