সঙ্গী কুকুর, সুস্থ হৃদয়
২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:০০
কুকুর পোষা মানেই একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী পাওয়া। বাড়িতে কুকুর থাকলে, সময় যেমন ভালো কাটে, মনও ভালো রাখে।সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে কুকুর পুষলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে। সেইসঙ্গে বাড়ে শারীরিক কার্যক্ষমতা।
দ্য কার্ডিওভাইজ ব্রনো ২০৩০ (The Kardiovize Brno 2030) শিরোনামের মধ্য ইউরোপের ১৭৬৯ জন ব্যক্তির উপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়। এদের বয়স ২৫ থেকে ৬৪ বছর। এদের মধ্যে ৪৪.৩ শতাংশ পুরুষের আগে থেকে হৃদরোগের ইতিহাস নাই। কয়েক বছরের মধ্যে তাদের উপর আবারও একটি পরিক্ষা করা হয়। এবার পোষা প্রাণী নাই এমন ব্যক্তি, কুকুর পোষেন এমন ব্যক্তি ও একদমই কোন পোষা প্রাণী নাই এমন ব্যক্তিদের শারীরিক সুস্থতার পরীক্ষা করা হয়। তাদের হৃদরোগ, বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই), খাবার গ্রহণ, শারীরিক কার্যক্রমের মাত্রা, রক্তচাপ, ধূমপান এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। সব রোগীর মধ্যে ২৪.৩ শতাংশ ব্যক্তির পোষা কুকুর আছে। পরীক্ষায় দেখা যায় অন্যান্য ব্যক্তিদের তুলনায় পোষা কুকুর আছে যাদের তারা কম ধূমপান করেন, শারীরিকভাবে বেশি কর্মক্ষম, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা একদম ঠিকঠাক এবং ‘উপকারী’ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি। এগুলো তাদের হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা নির্দেশ করে এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়।
যারা কুকুর পোষেন তাদের সুস্থতার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, অন্য প্রাণী পোষেন বা একদমই কোন প্রাণী পোষেন না, এমন ব্যক্তিদের তুলনায় কুকুর মালিকদের দৌড়াদৌড়ি বেশি করতে হয়। কুকুরকে বাইরে হাঁটতে নিয়ে যেতে হয় যা তার মালিককেও হাঁটতে বাধ্য করে। এভাবে হাঁটাহাঁটি, খেলাধুলার ফলে শারীরিক কার্যক্রম যেমনি বেশি হয়, তেমনি মন ভালো থাকায় সেটিও হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন যে, শুধুই পোষা কুকুররের সঙ্গে হাঁটার মাধ্যমেই যথেষ্ট ব্যায়াম হয় না। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, বিশ্রাম ও স্ট্রেসমুক্ত থাকা।