ওজন কমাতে প্রতিদিন ডিম
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৫২
প্রতিদিন ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে আছে নানারকম মত। অনেকেই ওজন বাড়ার ভয়ে ডিম খেতে চান না। কিন্তু উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকায় ওজন কমানোসহ ডিমের রয়েছে নানা উপকারিতা। আসুন দেখে নেই প্রতিদিন ডিম কেন খাবেন।
ওজন কমায়
সুস্বাদু খাবার দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যায় অনেকসময়। নিতান্ত পেট ভরা না থাকলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ডিমের প্রোটিন দীর্ঘক্ষন ভরপেটের অনুভূতি ধরে রাখে। এভাবে আমাদের খাবার গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা সকালে একটি বা দুটি ডিম খান।
সময় বাঁচায়
খুব কম খাবারই আছে যা ডিমের মত কম সময়ে তৈরি হয়। ঘুম থেকে উঠে ডিম সিদ্ধ বসিয়ে আরও দু’একটা কাজ সেরে নেওয়া যায়। আবার স্ক্রাম্বলড এগ, ডিম পোচ, বা অমলেট করতেও অত সময় লাগে না। সকাল সকাল পুষ্টি পেতে ও সময় বাঁচাতে তাই ডিম হতে পারে দারুণ সমাধান।
খেতেও সুস্বাদু
ডিম শুধু রান্নার সময়ই বাঁচায় না, এটি খেতেও দারণ। পাউরুটি, আটার রুটি, নুডলস এমনকি ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন সুস্বাদু ডিম।
এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়
যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের জন্য ডিম ক্ষতিকর, এটি আমরা প্রায়ই শুনি। কিন্তু অনেক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ডিম খেলে এইচডিএল বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন নামের উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এই ধরণের কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে কোলেস্টেরল সরিয়ে লিভারে পৌঁছে দেয় যা পরে লিভারের মাধ্যমে শরীর থেকে নিঃসরণ হয়। এভাবে আমাদের শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে এইচডিএল।
হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়
ডিম খাওয়ার পর হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায় যা এলডিএল বা লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমায়। এভাবে এটি হৃদরোগের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
সুস্থ ও সবল পেশীর জন্য
পেশী গঠন ও সংরক্ষনের জন্য আমাদের শরীরের প্রোটিন প্রয়োজন। সাধারনভাবে একটা বড় ডিমে ৭২ ক্যালরির শক্তি থাকে যার বেশিরভাগই প্রোটিন। সিদ্ধ ডিম, কিছু তাজা ফল আর ওটমিলে হয়ে যাবে দারুণ একটি সকালের খাবার যা দুপুর পর্যন্ত পেট ভরা রাখবে আপনার।
সুস্থ হাড়ের জন্য
প্রাণীজ প্রোটিন ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। আর হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কে না জানে। তাই ডিম হতে পারে প্রাণীজ প্রোটিনের দারুণ উৎস।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
ডিমে লুটেন এবং জিজ্যানথিন নামের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজনীয়। এই শক্তিশালি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো চোখের রেটিনাতে তৈরি হয়ে চোখকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।