Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অতিরিক্ত কফি কেন নয়?


২৫ জানুয়ারি ২০২০ ১০:৩০

কাজের ব্যস্ততা, ঘুমঘুম ভাব, ক্লান্তি- এক কাপ কফি যেন দূর করতে পারে এর সবই। কাজের উদ্যম ও মনোযোগ বাড়াতেও কফি প্রয়োজন হয় অনেকের। তবে অতিরক্ত কফি পানে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অফিস, বাসা কী আড্ডায় কফি ছাড়া যেন চলেই না। কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় উপকারি বন্ধু হিসেবে কাজ করে কফি। তবে চিকিৎসকদের মতে, দিনে ২ কাপ কফি পান করা ভালো। যাদের ঘুমের সমস্যা আছে, সন্ধ্যার পর কফি এড়িয়ে চলা উচিৎ তাদের।

আসুন, অতিরিক্ত কফি পানের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

পাকস্থলির সমস্যা
কফি বেশি পান করলে পাকস্থলিতে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কফি খাবার হজমে সহায়ক হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয় তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে করে কারও ডায়েরিয়া আবার কারও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই পেটের গণ্ডগোলে বা হজমের সমস্যায় কফি পান কমিয়ে দিতে হবে।

ক্লান্তি আসে
কফি কাজের উদ্যম বাড়ালেও তা সাময়িক। মাত্রাতিরিক্ত কফি পানের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত কফি পানে শরীরে ক্লান্তিভাব আসে। আবার ঘুম আসলেও ঘুমিয়ে পড়ার পর ভালো ঘুম না হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে পরদিন কাজ করতে ভালো লাগে না। আবার মাথাব্যথাও দেখা দিতে পারে।

বিষণ্নতা
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কফি পান করেন তারা দিনের শেষে বেশ ক্লান্তি অনুভব করেন। আর তখনই জেঁকে বসে বিষণ্নতা। অতিরিক্ত কফি পানে অ্যাড্রেনালাইন হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয়। ফলে সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্তি চলে আসে। ক্লান্ত শরীর মানেই ক্লান্ত মন। এতে অল্পেই মন খারাপ হয় অথবা বিষণ্ণ লাগে।

অনিদ্রা
ঘুম না আসার অন্যতম বড় কারণ হতে পারে ক্যাফেইন। গবেষকরা বলেন, অতিরিক্ত কফি পানে ঘুমের সময়সীমা ঠিক থাকে না। রাতে শোবার পরও ঘুম আসে না কিংবা কিছুক্ষণ পরপর ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর ঘুম কম হলে ওজন বেড়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হৃদপিন্ড আক্রান্ত হয়
মাত্রাতিরিক্ত কফি পানে হৃৎপিন্ডে রক্ত চলাচলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে না। এতে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। আর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

ক্ষুধার অনুভূতি বাড়ায়
ক্যাফেইন মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত কফি পানে ঝরে যাওয়া মেদের অভাব পূরণের জন্য ঘনঘন খেতে ইচ্ছা করে। ক্ষুধা না লাগলেও মনে হয় কিছু খেলে ভালো লাগবে। আর এতেই ওজন বেড়ে যায়।

সুস্থ থাকতে হলে বেশি নয়, পরিমিত পরিমাণে কফি পান করতে হবে। তাতে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইনের প্রভাবে শারীরিক অন্যান্য সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

অতিরিক্ত কফি কফি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর