অবসন্ন অবস্থায় কী খাবেন, কী খাবেন না
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:০০
সকালে ঘুম ভেঙেই কয়েক কাপ চা অথবা কফি প্রয়োজন হয় অনেকের। যদি ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমানোর পরও কর্মোদ্যম না পান বা তাজা অনুভব না করেন তবে বুঝতে হবে আপনার শরীর কোন একটা বার্তা দিতে চাচ্ছে।
রাতের অনিয়মিত ঘুম বা সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর ক্লান্ত বা অবসন্ন লাগা খুবই স্বাভাবিক। আপনার পুরো শরীর ব্যথা করতে থাকবে, প্রচণ্ড ঘুম পাবে এবং কোন কাজই করতে ইচ্ছা করবে না। এমন পরিস্থিতি হলে একেকজন একেকভাবে তা ঠিক করার চেষ্টা করেন। কেউ বাইরে খোলা বাতাসে হেঁটে আসেন তো কেউ কাপের পর কাপ কফি পান করতে থাকেন। তবে মনে রাখবেন অবসাদের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেরও যোগ রয়েছে।
ঘুমহীন রাত কাটানোর প্রভাব পড়ে আমাদের মানসিক পরিস্থিতির উপরও। ঠিকমত ঘুম না হলে অত্যন্ত নেতিবাচক হয়ে যায় চিন্তাভাবনা। বাড়িয়ে দিতে পারে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা। এর থেকে রক্ষা পেতে পারেন যদি সারদিনে অল্প বিরতি দিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
কী খাবেন
অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন মিষ্টিজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, টিনজাত এবং বাইরের খাবার খেতে না চাইলে সারাদিনে অল্প অল্প করে খেতে হবে। প্রতিবারের খাবারকে বলা হয় একেটি মিল। চেষ্টা করুন প্রতি মিলে কমপ্লেক্স বা জটিল ধরণের কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিজাতীয় খাবারের মিশেল রাখতে। এতে আপনার শরীরে শক্তির ভারসাম্য বজায় থাকবে।
অতিরিক্ত ক্লান্ত অবস্থায় আমাদের শরীরে প্রচুর গ্লুকোজ প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত গ্লুকোজ না পেলে অলসতা ভর করে। তাই অবসন্ন দিনে অলসতা থেকে মুক্তি পেতে কী খাবেন তা দেখে নেওয়া যাক-
- বাদাম, আঙুর, কলা বা অন্যান্য ফলের সঙ্গে ওটস
- বিভিন্নরকম শস্যদানার তৈরি টোস্ট ও ডিম
- বিভিন্নরকম সবজি, সেদ্ধ বিন (ছোলা, শিমের বিচি, মটরশুঁটি ইত্যাদি) ও অলিভ অয়েল বা অন্য তেল দিয়ে বানানো মুখরোচক সালাদ
- কাঠবাদাম, ওয়ালনাট ও কোন না কোন ফল
- দারুচিনি গুঁড়া, কিশমিশ ইত্যাদি মেশানো টকদই
চাই প্রচুর পানি
আমরা অনেকেই পানির গুরুত্ব বুঝতে পারিনা। কিন্তু সারাদিন সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণ পানি চাই। আর ক্লান্ত থাকলে তো কথাই নাই। শরীরের ক্লান্ত কোষগুলোকে সজীব রাখতে পান করুন বিশুদ্ধ পানি। যদি শুধু পানি ভালো না লাগে, সেক্ষেত্রে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে এতে চিনি মেশাবেন না।
এছাড়াও পানির পরিমাণ বেশি এমন ফল ও সবজি যেমন তরমুজ, শসা, লেটুস ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে যাই খান না কেন, দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে ভুলবেন না।
মিষ্টি থেকে দূরে থাকুন
অসম্ভব ক্লান্তিতে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। কিন্তু মিষ্টি উল্টো ক্ষতি করে। শর্করা সাময়িকভাবে তীব্র শক্তি জোগালেও একসময় হুট করে শক্তি পড়েও যায়। তাই চিনি বা চিনি দিয়ে তৈরি খাবার থেকে দূরে থাকুন। যদি কিছুতেই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা দমন করতে না পারেন তাহলে ফল বা বাদাম খান।