ধুলোবালির শহরে চুলের যত্ন
১০ মার্চ ২০২০ ১০:৩০ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ১৭:৪০
ঢাকার বাতাসে এখন প্রচন্ড ধুলোবালি। বাইরে বেরুলেই ত্বক ও চুলের ভয়ঙ্কর অবস্থা হওয়াই স্বাভাবিক। তবুও উপায় নেই, বাইরে তো যেতেই হয়। ধুলোবালিতে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। রুক্ষ হয় এবং চুল পড়া বেড়ে যায়।
তাই চুলের জন্য চাই বাড়তি যত্ন। চুলের যত্নে পার্লারে যেতেই হবে, এমন কোন কথা নেই। ঘরোয়া কিছু প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করেও সুফল পেতে পারেন। আর কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবেই এইসময় চুল পড়া রোধ করা সম্ভব।
আসুন জেনে নেই, চুলের যত্নে কী কী করবেন:
টকদই ও মধু
২ টেবিলচামচ টকদই ও ৩ টেবিলচামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের প্যাক তৈরি করুন। পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে অন্তত ১ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। যাদের চুল অত্যন্ত শুষ্ক বা রুক্ষ, তারা এই প্যাক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। চুল ঝলমলে করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি।
ডিম ও মধু
ধুলোবালিতে চুলের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। ধূসর বর্ণের হয়ে যেতে পারে চুল। এমন অবস্থায় চুলে লাগাতে পারেন ডিম ও মধুর প্যাক। দুটি ডিমের সঙ্গে ৩ টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ২ দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। যাদের চুল তৈলাক্ত তারা এই প্যাক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
অ্যালোভেরা
নানা গুণে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালোভেরা। চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ও চুল পড়া রোধে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। অ্যালোভেরার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ২ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের রুক্ষতা দূর হবে। চুল পড়াও কমে যাবে।
চুল ঢেকে রাখুন
বাইরে বের হলে চুল ঢেকে রাখাই ভালো। এতে চুলে ধুলোবালি কম লাগে। প্রয়োজনে একটি আলাদা ওড়না ব্যাগে রেখে দিতে পারেন। বাইরে বের হওয়ার আগে পেঁচিয়ে নিতে পারেন চুল।
খুশকির সমস্যা থাকলে
চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ হলো খুশকি। মাথায় ধুলোবালি জন্মে খুশকি দেখা দিতে পারে। খুশকি দূর করতে নারকেল তেল উষ্ণ গরম করে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি দূর হবে।
পানি ও পুষ্টিকর খাবার
কেবল বাহ্যিক যত্ন নিলেই চুলের সঠিক পরিচর্যা হয় না। ভেতরের পুষ্টির ওপর চুলের সৌন্দর্য অনেকখানি নির্ভর করে। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
ধুলোবালি থেকে চুল রক্ষা করতে সবারই কম-বেশি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে মনে রাখা ভালো, সবার চুলের ধরন এক না। আপনার চুলে যেসব উপাদান সহ্য হয় না, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।