Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাবেন


১২ মার্চ ২০২০ ০৬:০০

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে চারদিকে ঠাণ্ডা ও জ্বর দেখা দিচ্ছে। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ থেকে যুবা সবাই ভুগছনে এসব রোগে। আবার করোনা আতঙ্কেও ভুগছেন অনেকেই। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। আসুন দেখে নেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী ধরণের খাবেন।

১. আদা-চা
সাধারণ ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে আদা হল উপকারী বন্ধু। আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহ কমানোর উপাদান থাকে যা ঠাণ্ডার জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে। প্রদাহ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই আদা ফোটানো পানি বা চায়ে আদা দিয়ে খেলে তা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে।

বিজ্ঞাপন

২. কমলালেবু
ভিটামিন সি’র দারুণ উৎস কমলালেবু। সেইসঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অপরিহার্য পরিপোষক উপাদান। ভিটামিন সি ঠান্ডা ও ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে প্রতিরোধ করে ও প্রকোপ কমায়।

৩. পানি
যেকোন অসুস্থতা নিরাপয়ে পানির বিকল্প নাই। অন্য যেকোন পানীয়ের চেয়ে শুধুই পানি বেশি উপকারী। পানি খেলে তা বুকে জমা কফ বের করতে সাহায্য করে। অসুস্থ অবস্থায় আমাদের শরীর বেশি শুষ্কতার প্রবণতা দেখায়। তাই ঠান্ডাজনিত সমস্যায় অন্তত আট গ্লাস পানি তো বটেই প্রয়োজনে আরেকটু বেশি পানি পান করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

৪. টক দই
সাধারণত ফার্মেন্টেড খাবারে কিছু কিছু প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে। যারা প্রতিদিন প্রো বায়টিকস সমৃদ্ধ খাবার খান, তাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে সাধারণ দইয়ের তুলনায় গ্রীক ইয়োগার্টে প্রো বায়োটিকস বেশি থাকে

৫. জিনসেং চা
চীনে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা শ্বাসনালীর সংক্রমণ অর্থাৎ ঠান্ডা লাগার চিকিৎসায় হাজার বছর ধরেই জিনসেং চা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ঠান্ডা লাগা ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ কমায়। তবে জিনসেংয়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে আরও পরীক্ষা চলছে।

বিজ্ঞাপন

৬. টমেটো
অসুস্থ অবস্থায় টমেটো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একটা মাঝারি আকারের টমেটোয় ১৬ মিলিগ্রামের থেকে একটু বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

৭. কালো চকলেট
অবিশ্বাস্য হলেও বিষয়টি দারুণ যে কালো চকলেট ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভূমিকা রাখে। ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণ থিওব্রোমাইন আছে যা কফ দূর করতে সাহায্য করে। তবে এবিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা চলছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

৮. ব্রকোলি
ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রকোলি চমৎকার সবজি। ব্রকোলিসহ আরও যেসব ক্রুসিফেরাস শাকসবজি আছে তারা প্রত্যেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ব্রকোলিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদানগুলো অসুস্থ হয়ে পড়তে বাঁধা দেয়।

৯. এক্সট্রা ভার্জিন জলপাই তেল
রোগ প্রতিরোধের কথা আসলে দারুণ স্বাস্থ্যকর এক্সট্রা ভার্জিন জলপাই তেলের কথা আসবেই। এতে থাকা উচ্চ মাত্রা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড আমাদের শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে যা প্রদাহ কমায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও নানারকম সংক্রমণ থেকে বাঁচায়।

১০. সবুজ চা
শুধু ওজন কমাতেই নয় সবুজ চা ঠান্ডা লাগার বিরদ্ধেও বেশ উপকারী। এতে থাকা ফ্ল্যাভিনয়েড এক ধরণের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও প্রদাহ কমায়। এতে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট নানা রকম ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সেইসঙ্গে ঠান্ডা লাগার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্যাটেচিন।

১১. পালং শাক
সম্পুর্ণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পালং শাককে বলা হয় সুপার ফুড। এটি যেমন হজমে সহায়ক তেমনি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি শক্তিশালী পরিপোষক উপাদান যা সাধারণ ঠান্ডা ও অসুস্থতার প্রকোপ কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

১২. গোটা শস্যের রুটি
গোটা শস্যদানার রুটি মানে হল যেটি রিফাইন্ড বা পরিশোধিত হয়নি এমন আটা দিয়ে বানানো রুটি। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহ দূরকারী উপাদান থাকে। এটি স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। আর ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকা জরুরী।

১৩. ডিম
এতক্ষণ ধরে নানারকম উদ্ভিজ্জ খাবারের কথা হলেও এবার আসবে সবার প্রিয় প্রাণীজ আমিষ ডিমের কথা। ডিম, বিশেষত ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন পরিপোষক উপাদান রয়েছে। এছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

১৪. রসুন
ঠান্ডার সংক্রমণ থেকে বাঁচায় এমন খাবার হিসেবে রসুনের সুনাম রয়েছে। এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধী উপাদান ঠান্ডা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

১৫. আপেল
কথায় আছে দিনে একটি আপেল চিকিৎসককে দূরে রাখে। কথার কথা হলেও আপেলে সাধারণ ঠান্ডা থেকে দূরে রাখে। এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ক্রনিক রোগ থেকে দূরে রাখে।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি জিনসেং চা ঠান্ডার সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শ্বাসনালীর সংক্রমণ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর