সময় যেন কাটে না…
১২ এপ্রিল ২০২০ ১০:৪৩
পরিবারের সঙ্গে এতটা সময় কবে কাটানো হয়েছে তা মনে করা অনেকের জন্য রীতিমতো অসম্ভব বটে! কর্মব্যস্ততার কারণে দিনের পর দিন একইভাবে কেটে যায়। হোম কোয়ারেনটাইন তাই পরিবারের সঙ্গে কাটানোর ভালো মাধ্যম হতে পারে।
তবে কাজই মানুষের জীবন। কাজ ছাড়া একঘেয়ে হয়ে যায় জীবন। যেহেতু সৃষ্টির মধ্যেই থাকে আনন্দ।
করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক মহামারিতে ঘরে থাকাই এখন সবচেয়ে নিরাপদ। বাসায় কাটানো এই সময় যেন একঘেয়ে না হয় সেজন্য শখের কিছু কাজ করে ফেলতে পারেন। যেমন-
ছবি আঁকতে পারেন
ছোটবেলায় কিংবা জীবনের যেকোন পর্যায়ে আঁকতেন কিন্তু পরবর্তীতে ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি তারা কিন্তু হোম কোয়ারেনটাইনের সময়টা বেশ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন। রং তুলি কিংবা কেবল স্কেচ করেও ছবি আঁকতে পারেন। আঁকাআঁকির অসংখ্য ভিডিও থাকে ইউটিউবে। চাইলে ভিডিও দেখেও আঁকতে পারেন।
সেলাই
যাদের ঘরে সেলাই মেশিন আছে তারা হোম কোয়ারেনটাইন কাজে লাগাতে পারেন। পুরোনা শাড়ি কেটে ছোট-বড় সবার জন্যই জামা বানানো যায়। আবার অনেকে কাপড় কিনে রেখেছেন কিন্তু কিছুই বানানো হয়নি, তারাও এইসময় নতুন কিছু বানাতে পারেন। চাইলে কুশন কভারও বাসায় বানিয়ে ফেলা যায়। বাচ্চাদের জন্যও শৌখিন জামাকাপড় তৈরি করার এটাই উপযুক্ত সময়।
পরিবারের সঙ্গে খাবার খান
এখন যেহেতু বাসায় থাকেন সবাই, ফলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিবেলা খেতে পারেন। খাবার টেবিলে টুকটাক গল্প তো হয়-ই। এতে একঘেয়েমিভাব দূর হবে এবং আন্তরিকতা বাড়বে।
সন্তানকে নতুন কিছু শেখান
সন্তানের বয়স অনুযায়ী নতুন কিছু শেখাতে পারেন। হতে পারে ছড়া, কোন খেলা, গান কিংবা ছবি আঁকা। তাতে শিশুদের সময়টাও ভালো কাটবে। আর আপনার সন্তান যদি একটু বড় হয় তবুও ভিন্নভাবে কাটানো যায়। যেমন কোন বই পড়ার পর সেই বই সম্পর্কে পর্যালোচনা লিখতে বলুন সন্তানকে। সেই বই নিয়ে আপনার মতামতও তুলে ধরুন। দুজনের মতামতের ভিত্তিতে বইটি নিয়ে দারুণ পর্যালোচনা দাঁড়িয়ে যাবে।
ইনডোর খেলাও এইসময় বেশ আনন্দ দেবে।
বই পড়তে পারেন
এতটা সময় কখনই হাতে পাওয়া যায় না। ফলে বই পড়ার জন্য এইসময়টা দারুণ। সেলফে রাখা যেসব বইয়ে এখনো হাত দিতেই পারেননি, এখন সেগুলো অনায়াসেই পড়ে ফেলতে পারেন। বই পড়ে আপনার উপলব্ধি পরিবারের অন্য সদস্যদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
কাজ জমিয়ে রাখবেন না
ঘরের কাজ করার অফুরন্ত সময় আছে এখন। ফলে কাজ জমিয়ে রাখবেন না। প্রতিদিনকার কাজ প্রতিদিন সেরে ফেলুন। তাহলে কিছু সময় বেশ কেটে যাবে। মনও ভালো থাকবে।
গাছের বিশেষ যত্ন নিন
গাছের যত্ন নেওয়ার সময় কিন্তু এখনই। আগাছা পরিষ্কার, সার দেয়া, টব পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজগুলো সেরে ফেলুন।
নতুন কিছু তৈরি করার আনন্দই আলাদা। ফলে ভালোলাগার কাজগুলো করুন। পরিবারকে সময় দিন। নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন।