Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারীবাদ চেতনায় উজ্জীবিত প্যারিস ফ্যাশন উইক ২০১৮


৩ মার্চ ২০১৮ ১৮:০৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক।।

ঝলমলে প্যারিস এখন আরও দ্যুতিময়। বিশ্বের সব বড় বড় ফ্যাশন হাউজগুলো তাদের নতুন নতুন ডিজাইনের পশরা সাজিয়ে বসেছে প্যারিসে। ২৭ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া প্যারিস ফ্যাশন উইক চলবে মার্চের ছয় তারিখ পর্যন্ত।

আসছে মে’তে প্যারিস উদযাপন করবে ১৯৬৮ তে ঘটে যাওয়া  ছাত্র বিদ্রোহের পঞ্চাশ বছর। তাই এবারের ফ্যাশন উইকে সেই বিপ্লবী চেতনার আঁচ লাগাটাই স্বাভাবিক। ফ্যাশন উইকের প্রথমদিন থেকেই দর্শকরা সেই আগুনের আঁচ উপভোগ করছেন।

এই দিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ ক্রিশ্চান ডি’ওর প্যারিসের ফ্যাশন রানওয়েকে নিয়ে গিয়েছে পঞ্চাশ বছর আগের একটি উত্তাল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। এ বিষয়ে ডি’ওরের ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লিখা হয়েছে, ‘চলো ফিরে যাই পঞ্চাশ বছর আগের সেই সময়টাতে যখন যুবসমাজ তাদের সমস্ত শক্তি এবং ক্ষমতাকে ব্যবহার করেছিল বিপ্লবী চিন্তাভাবনা আর কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।’

 

 

ষাটের দশকে গড়ে ওঠা বড় বড় আন্দোলনের মধ্যে ডি’ওর মুলত নারীবাদী আন্দোলনকে উপজীব্য করেই তাদের এবারের উইন্টার-স্প্রিং কালেকশনটি সাজিয়েছে। গোটা রানওয়েসহ শো-এর জন্যে ঠিক করা হলরুমটি ঢেকে দেয়া  হয়েছিলো বিভিন্ন সময়ের নারী অধিকার আন্দোলনের বিখ্যাত সব স্লোগান দিয়ে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিল ছিলো হিলারি ক্লিনটনের ১৯৯৫ এর বিখ্যাত মন্তব্য, “নারীর অধিকার মানেই মানবাধিকার” এর কোলাজটি।  চমকপ্রদ এই রানওয়েতে আসে নারীবাদী ও মানবাধিকারের চেতনায় উদ্দীপ্ত একের পর এক চমৎকার সব কালেকশন। একটি স্যুয়েটারে ফ্রেঞ্চে  লিখা ছিলো, “সে নো নো নো এ নো” যার অর্থ হল, “না না না এবং না”।

বিজ্ঞাপন

 

 

আরেকটি স্যুয়েটারে ছিলো বেশ বড় করে শান্তির চিহ্ন আঁকা। এছাড়াও ছিলো ষাটের দশক থেকে অনুপ্রাণিত প্যাচওয়ার্ক সম্বলিত মিনি স্কারট, বুটস আর নানান ধরণের পোশাক। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মডেলরা সবগুলো পোশাকের সাথেই মাথায় দিয়েছেন নিওন রঙের সানগ্লাস আর কালো নিউজবয় ক্যাপ।

 

 

ক্রিশ্চার ডি’ওরের প্রধান ডিজাইনার হিসেবে নিয়োগ পাবার পর থেকেই এই সুযোগটিকে পুরোদমে কাজে লাগাচ্ছেন মারিয়া গ্র্যাজিয়া। তার কালেকশনের মাধ্যমে তিনি চাইছেন নারীর অধিকার এবং ক্ষমতায়নের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে। ডি’ওরের সত্তুর বছরের ফ্যাশন ইতিহাসের মারিয়াই প্রথম প্রধান নারী ডিজাইনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

 

 

ষাটের দশকে বিপ্লব আর বিদ্রোহের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল নতুন কালেকশনের মাধ্যমে মারিয়া  সেই  চেতনা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন এই যুগের মানুষের মধ্যে। ৫৪ বছর বয়সী  মারিয়া বলেন, “নারীবাদ মানেই স্বাধীনতা। নিজেকে পরিচিত করে তোলার  জন্য নিজের পছন্দমতো পোশাক পরার স্বাধীনতাও এর মধ্যে অন্যতম! আমাদেরকে নারীদের কথা শুনতে হবে। নতুন প্রজন্মের নারীদের চিন্তভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে হবে”।

 

সারাবাংলা/জেএম/এসএস

 

 

প্যারিস ফ্যাশন উইক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর