বাসায় থেকে অফিস: সুস্থ থাকতে কী করবেন?
১৭ মে ২০২০ ১১:০০
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। আমাদের দেশেও চলছে সাধারণ ছুটি। বাসায় বসে অফিসের কাজ করতে হচ্ছে। অফিসের মিটিং ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব কাজ হচ্ছে অনলাইনেই।
দীর্ঘসময় ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করার ফলে অনেকেই ভুগছেন ব্যাকপেইন, ঘাড় ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো শারীরিক সমস্যাগুলোতে। এজন্য দরকার বাড়তি সতর্কতার। চলতে হবে নিয়মমেনে।
শরীর সচল রাখুন
অফিসে যাওয়া-আসা, বাইরের অন্যান্য কাজ করার ফলে আগে আমাদের শরীরের পেশি সচল থাকতো। এ নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হতো না। এখন যেহেতু লকডাউনের ফলে বাসায় থাকতে হচ্ছে, ফলে শারীরিক সুস্থতা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোজা রাখার ফলে ভারী ব্যায়াম না হলেও কিছু হালকা ব্যায়াম করা যেতেই পারে। বাসার কাজও জমিয়ে না রেখে, প্রতিদিনই কিছু না কিছু করতে হবে।
ঘাড় সোজা রাখতে হবে
চেয়ার ও টেবিল এমন হবে যাতে ঘাড় সোজা থাকে। ঘাড় নিচু করে কাজ করা ঠিক না। প্রয়োজনে পেছনের দিকে একটা কুশন রাখতে পারেন এতে মেরুদন্ডও সোজা থাকবে।
একটানা বসা যাবে না
একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে ৪০ মিনিট পর পর উঠে হাঁটতে হবে। হাঁটার সময় মোবাইল বা কোন ডিভাইসের স্ক্রিনে চোখ রাখা যাবে না। এতে চোখও কিছুটা বিশ্রাম পাবে।
ভুজঙ্গাসন
যারা দীর্ঘদিন ধরে কিংবা সম্প্রতি ব্যাকপেইনে ভুগছেন তাদের জন্য ভুজঙ্গাসন খুবই উপকারি। দুই পা সোজা করে উপুড় হয়ে শুতে হবে। দুই হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে শরীরে সামনের দিক উঁচু করতে হবে। মাথা যতটা সম্ভব পেছনের দিকে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এ অবস্থায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থেকে আস্তে আস্তে মাথা ও বুক নামিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।
ব্যাকপেইন কমাতে এই ব্যায়াম উপকারি।
একইসঙ্গে লেখা ও বলার ক্ষেত্রে
অনেকসময় কাজের মধ্যে অফিস থেকে ফোন আসে কিংবা অন্য জরুরী ফোনও আসতে পারে। তখন কাঁধের সাহায্য নিয়ে মোবাইলে কথা বলা ও কম্পিউটারে টাইপ করা- এই দুই কাজ একসঙ্গে করেন অনেকেই। এতে কাঁধের ওপর চাপ পড়ে। যদি মোবাইল ফোনে কথা বলে লিখতেই হয়, তবে অবশ্যই হেডফোন ব্যবহার করতে হবে।
কাজ শেষে ডিভাইস নয়
অফিসের কাজ শেষ করে অন্তত ১/২ ঘন্টা কোন ডিভাইসের স্ক্রিনে চোখ রাখবেন না। ঘরেই হাঁটুন। অন্যকাজ করুন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য সুস্থ থাকতে হবে। আর সুস্থ থাকার জন্য দরকার সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি মেনে চলা।