মোবাইল আর কম্পিউটার ত্বকের ক্ষতি করছে না তো!
২০ মে ২০২০ ১০:৩০
করোনা থেকে বাঁচতে ঘরে থাকছি আমরা। অনেকেই আবার ঘরে থেকেই অফিস করছি। কাজের প্রয়োজনে বা সময় কাটাতে অনেকটা সময় মোবাইল ও কম্পিউটারে কাটাতে হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়দের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় অডিও-ভিডিও কলেও যাচ্ছে অনেকটা সময়। এভাবে বেড়েছে স্ক্রিন টাইম অর্থাৎ বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সামনে কাটানো সময়।
এভাবে দীর্ঘসময় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের চোখ আর ত্বক। চোখের ক্ষতির বিষয়টা আমরা জানলেও ত্বকের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টা অনেকেই জানি না। সরাসির স্ক্রিনের নীল রশ্মির সংস্পর্শে আসা ঠিক সূর্যালোকের মতই আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
জেনে নেই এই নীল রশ্মি কীভাবে ক্ষতি করে
বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে নির্গত নীলচে আলো বা রশ্মি সংক্ষিপ্ত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের হয় যা থেকে প্রচুর শক্তি নির্গত হয়। দিনের একটা বড় অংশ এই আলোর সামনে কাটানো তাই আমাদের জন্য দারুণ ক্ষতিকর।
এটা সত্য যে সূর্যের আলো প্রাকৃতিক হওয়ায় এর থেকে নির্গত কিছু মাত্রার নীল রশ্মি আমাদের জন্য উপকারি হলেও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে তা নয়। কৃত্রিম উপায়ে তৈরি হওয়ায় এতে প্রাকৃতিক সেসব গুণাবলী পাওয়া যায় না। ফলে মোবাইল বা ল্যাপটপের সামনে অনেকটা সময় কাটালে তা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ও ত্বকে বলিরেখা পড়ার জন্য দায়ী। এছাড়াও এতে ত্বকে কালচে ভাব দেখা দেয় ও ত্বকের টানটান ভাব কমে। আর যাদের গায়ের রঙ কালো অর্থাৎ ত্বকে মেলানিন বেশি তাদের ত্বক লাল হয়ে যায় ও দ্রুত কালো ভাব বেড়ে যায়। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপের সামনে কাটালে মানুষের ত্বকের স্বাস্থ্যকর কোলাজেনের গঠন ভেঙে পড়ে যার ফলে জায়গায় জায়গায় কালচে ছোপ পড়ে।
ত্বকের ক্ষতি থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব এসব যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকতে হবে। যাদের কাজের প্রয়োজনে দীর্ঘসময় থাকতে হয়, তারা সানব্লক ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকা এসপিএফ উপাদান ত্বককে ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেবে। সমস্যা গুরুতর হলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
ত্বকের ক্ষতি ত্বকের সুরক্ষা নীল রশ্মি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মোবাইল ল্যাপটপ