আমে ত্বক তাজা
৬ জুন ২০২০ ১৮:২৮
মধুমাস জৈষ্ঠ্যতে নানা ফলের সমাহার থাকলেও মন কেড়ে নেয় আম। আমের গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর পাকা আম এইসময়ের সেরা ফল। আম শুধু খেতেই নয়, ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকরী।
আম তো ঘরে আছেই। ত্বকের উপযোগী কিছু ঘরোয়া প্যাক খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন। পাকা আমের মিশ্রণ বা প্যাক সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলে মলিনতা দূর হয়ে ত্বক হবে সতেজ ও প্রাণবন্ত। ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী আমের তৈরি কয়েকটি মিশ্রণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
সতেজতা ধরে রাখতে
পাকা আমের মণ্ড ১ টেবিলচামচ, বেসন ২ টেবিলচামচ, মধু ১ টেবিলচামচ নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি ত্বকের মলিনতা দূর করে সতেজভাব আনতে সাহায্য করবে।
মরাকোষ দূর করতে
ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে মরাকোষ। আমের তৈরি মিশ্রণ ভালো স্ক্র্যাবার হিসেবে কাজ করে ও মরাকোষ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য পাকা আমের মণ্ড ১ টেবিলচামচ, মধু ১ টেবিলচামচ, চালের গুঁড়া ১ টেবিলচামচ, তরল দুধ ১ টেবিলচামচ নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মরাকোষ দূর হওয়ার পাশাপাশি এই প্যাক ত্বকের কোমলতা বজায় রাখবে।
বিবর্ণ ত্বকের ক্ষেত্রে
রোদে পুড়লে বা অনেকদিন যত্ন না নিলে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়। কালো দাগছোপ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রেও উপযোগী আমের তৈরি ফেসপ্যাক। আমের মণ্ড ১ টেবিলচামচ, বেসন ২ টেবিলচামচ, আলমন্ড অয়েল ১ টেবিলচামচ, মধু ১ টেবিলচামচ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন ও ত্বকে ব্যবহার করুন। বিশেষ করে রোদে পুড়ে যাওয়া অংশে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে ত্বকের দাগছোপ দূর হবে।
ব্রণের সমস্যা থাকলে
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা অনেকসময় ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। ব্রণ থাকলে ত্বকের বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। পাকা আমের মণ্ড ১ টেবিলচামচ, টকদই ২ টেবিলচামচ, মধু ২ টেবিলচামচ নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ কমে যাবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এখন যেহেতু সৌন্দর্যচর্চা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ, ফলে ঘরে বসেই ত্বকের যত্ন নিতে হচ্ছে। ত্বকের বাহ্যিক যত্ন নেয়ার পাশাপাশি সুষম খাবারদাবার, পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়ামের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এগুলোও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
ছবি- ইন্টারনেট