Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর নাস্তায় ঘরে তৈরি পেয়ারার জেলি ও জ্যাম


২২ আগস্ট ২০২০ ১৫:৩৫

অনেক বাচ্চাই জেলি বা জ্যাম দিয়ে পাউরুটি বা টোস্ট খেতে পছন্দ করে। আবার শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো একরকম চ্যালেঞ্জ বলতে গেলে। তাই সকাল বা বিকেলের নাস্তায় শিশুকে ঘরে তৈরি পেয়ারার জেলি বা জ্যাম দিতে পারেন।

পেয়ারার এই সময়ে একসঙ্গে অনেকটা বানিয়ে ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন। ফুডকালার, চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আলাদা করে প্রিজার্ভেটিভ না দেওয়া এই খাবার বাজারে কেনা জ্যাম বা জেলির চেয়ে নিরাপদ। আসুন দেখে নেই কীভাবে ঘরেই বানাবেন সুস্বাদু পেয়ারার জ্যাম ও জেলি।

পেয়ারার জেলি
উপকরণ

  1. পাকা পেয়ারা ২ কেজি
  2. চিনি ১/২ কেজি
  3. লবণ সামান্য
  4. লেবুর রস ২ টেবিল চামচ অথবা সাইট্রিক এসিড ৪ চা চামচ
  5. পানি ১৫/১৬ কাপ

পদ্ধতি
প্রথমে পেয়ারা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে।
এবার একটি বড় পাত্রে মাপা পানিতে পেয়ারা ও লবণ দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে ছাকনি দিয়ে ছেকে পেয়ারা সেদ্ধ পানিটা নিতে হবে।
এবার আলাদা পাত্রে পেয়ারা সেদ্ধ পানি জ্বাল করতে হবে। পানি অর্ধেক হয়ে আসলে চিনি দিয়ে নাড়তে হবে। জ্বাল নিয়ন্ত্রণ করুন। অনভিজ্ঞদের জন্য মাঝারি থেকে কম আচে রান্না করাই ভালো। এতে নিচে পুড়ে যাবে না। আর বারবার নেড়েচেড়ে দিতেও ভুলবেন না।
রস একটু ঘন হয়ে আসলে লেবুর রস বা সাইট্রিক এসিড দিয়ে খুব ভাল করে নাড়তে হবে। এই পর্যায়ে চাইলে ফুড কালার যোগ করতে পারেন। সামান্য জাফরান পানিতে গুলেও দিতে পারেন। প্রাকৃতিক রঙের মধ্যে এটিই সেরা।
জেলি হয়ে গেছে কিনা পরীক্ষা করতে একটি পিরিচ বা প্লেটে এক ফোঁটা ফেলে কিছুটা ঠাণ্ডা করে তার মধ্যে আঙুল দিতে টান দিতে হবে। পানি পানি থাকলে দুই পাশ থেকে জেলি এসে এক হয়ে যাবে জমে। এমন থাকলে আরও জ্বাল দিতে হবে। আঙুল দিয়ে টান দিলে সেই জায়গা ফাঁকা থাকলে জেলি তৈরি হয়ে যাবে।
জেলি হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই কাচের জারে ভরে পুরোপুরি ঠাণ্ডা করে নিন। কয়েক মাস ফ্রিজে রেখেও খাওয়া যাবে।

পেয়ারার জ্যাম
উপকরণ

  1. পাকা পেয়ারা ১/২ কেজি
  2. পানি ৪ কাপ
  3. চিনি ২ কাপ
  4. লেবুর রস ১ টেবিল চামচ

পদ্ধতি
পেয়ারা ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পাত্রে ঢাকনা দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। অন্তত আধাঘণ্টা জ্বালা দিতে হবে। একদম নরম হয়ে গেলে অল্প অল্প করে পেয়ারা নিয়ে এর থেকে পাল্প বের করে নিতে হবে।
এর জন্য বড় আকারের স্টিলের চায়ের ছাকনি ব্যবহার করতে পারেন অথবা অন্য কোন স্টিলের চালনি যার ছিদ্র খুবই ছোট। এবার একটি পাত্রে ছাকনি বসিয়ে অল্প অল্প করে পানিসহ সেদ্ধ পেয়ারা নিন ও চামচের পেছনের অংশ দিয়ে ডলে ডলে পাল্প বা মজ্জা বের করে নিন। শুধু নরম অংশই নিচ দিয়ে বের হবে, ছাকনির ওপরে বিচি ও  বাকি সাদা অংশ জমা থাকবে। এটি ফেলে দিতে হবে।
এভাবে কয়েক বারে পুরোটা পেয়ারার পাল্প ছেঁকে নিয়ে সেটি আলাদা একটি শুকনা পাত্রে চিনি ও লেবুর রস দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন ও ক্রমাগত নাড়ুন যেন কিছুতেই নিচে লেগে বা পুড়ে না যায়। এভাবে আরও আধাঘন্টা লাগার কথা।
জ্যাম তৈরি হয়েছে কিনা বোঝার জন্য জেলির মতই একইভাবে পিরিচে নিয়ে আঙুল দিয়ে পরিক্ষা করে দেখতে হবে। যদি জ্যামের মাঝাখান দিয়ে আঙুল চালালে দুপাশ থেকে জ্যাম এসে মিলে না যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটি তৈরি হয়ে গেছে।
জ্যাম তৈরি হয়ে গেলে কিছুটা ঠাণ্ডা করে মুখ ঢাকা কাচের বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন।

জ্যাম ও জেলি কয়েকটি আলাদা কাচের বয়ামে বা মেসন জারে সংরক্ষণ করা ভালো। এতে করে যখন যেটি ব্যবহার করবেন সেটি বের করে বাকিগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

ঘরে তৈরি পেয়ারর জেলি ঘরে তৈরি পেয়ারার জ্যাম পেয়ারা পেয়ারার জেলি পেয়ারার জ্যাম সুস্বাদু পেয়ারার জ্যাম ও জেলি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর