চিৎকার করে গান গাইলে করোনার ঝুঁকি বেশি: গবেষণা
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:১৩
গান গাইলে গাইতে হবে মন খুলে ও গলা ছেড়ে। তবে করোনাকালে এমন সুপরামর্শ দেওয়ার বেলায় সতর্ক থাকাই ভালো। কারণ গবেষকরা বলছেন গলা ছেড়ে গাইতে গিয়ে যদি কেউ চিৎকার করে গাইতে থাকেন তবে বিপত্তি। অর্থাৎ, চিৎকার করে গান গাইলে করোনাভাইরাসের ড্রপলেট ছড়ায় আরও দূরে।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির করা গবেষণায় পাওয়া ফল বলছে— চিৎকার করে গান গাওয়ার সময় মুখ থেকে অধিক বাষ্প নির্গত হয়। আর এর মাধ্যমে করোনার ড্রপলেট বাতাসে আরও বেশি ছড়ায়। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল অ্যারোসল সাইয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
গবেষক জ্যাকব লনডান এক বিবৃতিতে বলেন, কিছু ড্রপলেট এত বড় যে তা মুখ থেকে নির্গত হওয়ার পর মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার দূরে গিয়ে পড়ে যায়। তবে গান গাওয়ার সময় ঠিক কতটি ও কি আকারের ড্রপলেট নির্গত হয় সে ব্যাপারে কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য ও সংখ্যা এখনও আমাদের হাতে নেই। গবেষকরা বলছেন, ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের সময় বড় আকারের ড্রপলেট বাতাসে ছড়ায়। যেমন ‘বি’ ও ‘পি’ বর্ণগুলো উচ্চারণে বেশি বাষ্প নির্গত হয়।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল কয়েকজন পেশাদার সঙ্গীত শিল্পীকে গান গাইতে বলেন। শিল্পীরা গান গাইলে দেখা যায়, যে যতো বেশি চিৎকার করছেন তার মুখ থেকে ততো বেশি বাষ্প নির্গত হচ্ছে ও দূরে যাচ্ছে। তবে নিচু স্বরে গাইলে বাষ্প কণা নির্গত হচ্ছে না।
গবেষক দল এ গবেষণা কাজে ১২ জন কণ্ঠশিল্পীকে বেছে নিয়েছিলেন, এর মধ্যে সাত জন অপেরা শিল্পী। নির্বাচিত শিল্পীদের মধ্যে দুই জন ছিলেন করোনায় আক্রান্ত। সবরকম নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে এদের গান গাইতে দেওয়া হয়। এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফল বলছে জন্মদিনের পার্টিতে শুভ জন্মদিন জানিয়ে যেসব গান গাওয়া হয় সেগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গান গাওয়ার ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ আরোপও করছেন না। তাদের মতে— যদি মাস্ক পরা থাকে আর স্রোতারা যথেষ্ট দূরত্বে অবস্থান করেন তবে ঝুঁকি নেই।