ভয়ংকর সুন্দর পর্যটন স্পট- ডানাকিল মরুভূমি, ‘হেল অন আর্থ’
৩ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩৪
ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে একটি দল আছে যারা বেশ বিপদজনক, ভয়ঙ্কর, শিহরণ জাগায় এমন কিছু অভিজ্ঞতার খোঁজে থাকেন সবসময়। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে যান রোমাঞ্চের খোঁজে। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যা রোমাঞ্চের সঙ্গে বিপদও ডেকে আনতে পারে। ভয়ঙ্কর সুন্দর সেসব জায়গা নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে আজ থাকছে ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্তের ডানাকিল মরুভূমির কথা।
ডানাকিল ডিপ্রেশন নামে পরিচিত পৃথিবীর আরেকটি শুষ্কতম জায়গা এটি। মূলত আগ্নেয়গিরি ও তীব্র তাপমাত্রার জন্য এটি অনেক বেশি পরিচিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে নিচু এলাকাগুলোর একটি এটি। গবেষণা, রোমাঞ্চকর ভ্রমণ এবং লবনের খনির সন্ধানেই মূলত এসব জায়গায় ভ্রমণ করেন মানুষ।
ডানাকিলের প্রতিদিনের গড় তাপমাত্রা ৯৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ৩৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, কিন্তু এটি গ্রীষ্মকালে ১২২ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। বৃষ্টিপাত এখানে নেই বললেই চলে। ‘হেল অন আর্থ‘(hell on earth) নামে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটি পরিচিত।
৫২ হাজার ৮৭৯ বর্গমাইলের অদ্ভুত প্রাকৃতিক রহস্যেঘেরা এই মরুভূমিতে রয়েছে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি। হ্রদগুলোর জ্বলন্ত লাভা রাতেও ডানাকিলের আকাশকে আলোকিত করে রাখে যা অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম দেয়।
সবুজ পৃথিবীর বিবর্ণ ভূখন্ড ডানাকিল। তীব্র শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই এখানে গাছ-পালা ও প্রাণীদের তেমন একটা দেখা যায় না। তবে লেকগুলোর রঙ্গিন তাপবলয় পরিবেশকে করে তুলেছে বিষন্ন।
তবে উত্তপ্ত এ পরিবেশের মধ্যেও মানুষের বসবাস রয়েছে। হাজার বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে ’আফার‘ নামের অধিবাসী। মূলত খনি থেকে লবন সংগ্রহ করাই তাদের প্রধান পেশা।
বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও সাহসী পর্যটকদের আকৃষ্ট করে ডানাকিল মরুভূমি। দিন দিন সেখানে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। ডানাকিলে গিয়ে নিজেদের সৌরজগতের আরেকটি গ্রহে আবিষ্কার করেন পর্যটকরা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এই মরুভূমিতে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ গাইড নিয়ে যেতে হবে। গাইড ছাড়া সেখানে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
সারাবাংলা/এসএসএস
ডানাকিল মরুভূমি পর্যটন পর্যটন স্পট ভয়ঙ্কর সুন্দর পর্যটন স্পট হেল অন আর্থ