Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমি পারি, আমি পারব— এটি সবচেয়ে বেশি জরুরি


২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৪

ঢাকা: নাহরীন চৌধুরী। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার, পাশাপাশি যুক্ত আছেন শিক্ষকতায়। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এনার্জি প্যাক এর প্রতিষ্ঠান ওকোড এ। হেড অব অপারেশন ও ইনোভেশন এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। শিক্ষকতা করছেন শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। বহুমাত্রিক ক্যারিয়ারের নানা প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সারাবাংলায়। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার জয়েন্ট নিউজ এডিটর কবীর আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: একজন মানুষ কী করে একসঙ্গে এত দায়িত্ব পালন করতে পারে?

নাহরীন: আসলে সময়টাকে ধরে রাখতে জানতে হবে। কোনো কিছুই কঠিন না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সময়ের ব্যবহারটা আপনি কীভাবে করছেন সেটা বুঝতে হবে। আমি সকাল ৬টায় ঘুম থেকে ওঠি। নয়টায় অফিসের উদ্দেশে বের হই। রাতে যখন বাসায় আসি তখন আমি অফিসের কোনো কল রিসিভ করি না। এটি আমার অফিস জানে। আমি চেষ্টা করি। অফিসের কাজ অফিসেই করে আসতে। আবার আমি শিক্ষকতা করছি। আমার ছাত্রদেরকেও সময় দিতে হচ্ছে। তিনটি ক্যারিয়ার সময়ের একটি বড় শক্তি হচ্ছে ডিসিপ্লিন। সবকিছুই সম্ভব। যদি সময়কে ম্যানেজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

সারাবাংলা: করপোরেট ফ্যাশন হাউজে জব করার পাশাপাশি আপনি শিক্ষকতা পেশা বেছে নিলেন কেন?

নাহরীন: আমি শান্তা মারিয়ামে পড়াশোনা করেছি। পড়শোনা শেষ করার পরেও ক্যাম্পাস এর সঙ্গে যোগাযোগ হতো। বিভিন্ন সেমিনারে যেতাম। আমাকে অফার করা হলো আমি আর না করিনি। আমিও চেয়েছিলাম আমার জ্ঞানের পরিধিটা নতুন প্রজন্মর কাছে ছড়িয়ে দিতে।

সারাবাংলা: ছাত্রদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?

নাহরীন: শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক সবসময়ই ভালো থাকে। আমার সঙ্গে তাদের একটা ভালো বোঝাপড়া আছে। আমার যদি সামর্থ্য থাকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ক্যারিয়ার এর চ্যালেঞ্জ নিতেই পারি। তবে আমি যখন ওকোডে থাকি। তখন শুধু ওকোডের কাজেই সময় দিই। আবার আমি যখন শিক্ষকতা করি তখন আমার সেই ধ্যানটিই মাথায় থাকে।

সারাবাংলা: করপোরেট অফিসে কাজ করে শিক্ষার্থীদের সময় দেওয়া চ্যালেঞ্জ মনে হয় না?

নাহরীন: অফিসের পর আমি ছাত্রদের সঙ্গে অনলাইনে কিছুটা সময় কাটাই। আমি দশম ও দ্বাদশ সেমিস্টারে ক্লাস নিই। বিভিন্ন ধরনের বিষয় থাকে শিক্ষার্থীদের। আমি মনে করি, প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার অধিকার তাদের আছে। সপ্তাহে একটা বা দুটা ক্লাসে তো আর হয় না। একটা প্রশ্নের এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা ঠিকও না। আমি জানি ছাত্ররা অনেক বেশি জানে এবং তাদের ভবিষ্যতও অনেক উজ্জ্বল। তাদের এখন দিকনির্দেশনাটা খুব প্রয়োজন। চেষ্টা করি ছাত্রদেরকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন পেশায় প্রতিবন্ধকতা কী বলে মনে করেন?

নাহরীন: কিছু তো প্রতিবন্ধকতা আছেই। তারপরও আমি পারি, আমি পারবো এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জরুরি। সময়টিকে একটি ছকে ফেলতে পারলে সব প্রতিবন্ধকতাকেই জয় করা যায়।

সারাবাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।

নাহরীন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

সারাবাংলা/একে

নাহরীন ফ্যাশন ডিজাইনার